পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে দু’দিনের জঙ্গলমহল সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার বাঁকুড়ার বলরামপুরে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আগাগোড়া কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন। তাঁর বক্তব্যে এবার সরাসরি উঠে এল ডিএ প্রসঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা। মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা থাকলেও তিনি ম্যাজিসিয়ান নন বলে ডিএ ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, জঙ্গলমহলে দীর্ঘ ১১ বছরের চেষ্টায় মাওবাদী সমস্যা দূর করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় বাঁকুড়া থেকে মাওবাদী আতঙ্ক দূর হয়েছে। এখানেই তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছি। আমি জাদুকরের মতো টাকা দিতে পারি না। টাকা দাও বললেই হঠাৎ গুপী গাইন বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি চলে এল, টাকা চলে এল। টাকাটা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩% ডিএ আমরা দিয়েছি। দিল্লির সরকার খাদ্যের টাকা কেটে নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার আদার ব্যাপারীকে টাকা দিতে হবে।’
এদিকে রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মীদের জন্য ৩ শতাংশ হারে ডিএ ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু সরকারি কর্মীরা তাতে সন্তুষ্ট নন। বরং বকেয়া ডিএ না মেটালে আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিক্ষোভ নিয়ে বিশেষ কিছু না বললেও বাঁকুড়ার সরকারি সভা থেকে বলেন,‘আমি ম্যাজিসিয়ান নই। টাকাটা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও ৩ শতাংশ ডিএ আমরা দিয়েছে। বাংলার বাড়ি হবে না। রাস্তা হবে না। যেন মনে হচ্ছে ওদের বাপের টাকা। এটা আমাদের টাকা। আমাদের এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। আর রাজ্যকেই টাকা দেয় না।’
অন্যদিকে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না। বিজেপি নেতাদের কথায় এই কাজ হচ্ছে। বাঁকুড়া জেলায় দুই সাংসদ ও বেশিরভাগ বিধায়ক বিজেপির। কিন্তু কোনও কাজ করে না। কোকিল যেমন কাকের বাড়িতে ডিম পাড়ে, তেমনই ভোট এলে বিজেপি বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়, তারপরেই পালিয়ে যায়। জনগণকে আমি ভালবাসি। জনগণও আমাকে ভালবাসে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup