কেষ্টকে দিদি ভালবাসেন। একবার তিনি বলেছিলেন, কেষ্টর মাথায় অক্সিজেন কম ঢোকে। তাই ওর পিছনে সবাই লাগছে। এ হেন কেষ্টকে দিদি সাংসদ পদ দিতে চেয়েছিলেন। যা কেষ্ট নেয়নি। হ্যাঁ, এখানে দিদি বলতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেষ্ট হচ্ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার সেই কথাই তুলে ধরলেন দিদির কেষ্ট দুর্গাপুর মেলায়। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে একটি মেলার উদ্বোধনে এসে নেতা–মন্ত্রী–সাংসদ পদের জন্য তিনি লালায়িত নন বলেই জানিয়ে দিলেন।
ঠিক কী বলেছেন অনুব্রত? এদিন তিনি বলেন, ‘আমি বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, দল ছেড়ে দেব। আমি বলেছিলাম, আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গেই থাকতে চাই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সাধারণ সৈনিক। আমাকে মমতা যা করতে বলেন, আমি তাই করি। আমার কোনও লোভ নেই।’
অনুব্রত মণ্ডলকে মন্ত্রী করতে চাওয়ার কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করার কথা এতদিন গোপনই ছিল। যা এতদিন পর প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। কী কারণে এই কথা বললেন? তা অবশ্য প্রকাশ্যে বলেননি। এখন প্রশ্ন উঠছে, সত্যি কী মুখ্যমন্ত্রীর এমন ইচ্ছা হয়েছিল? মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এই নিয়ে কিছু বলেননি।
এখন দেউচা–পাঁচামিতে কয়লা খনি গড়ে তোলার কাজ হচ্ছে। সেখানে আদিবাসী নেতা সুনীল সোরেনকে তৃণমূল কংগ্রেসে নেওয়া হয়েছে। দেউচা–পাঁচামি কয়লা খনি গড়ে তুলতে জমিদাতাদের যে ‘প্যাকেজ’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার তা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুনীলকে। অনুব্রত বলেন, ‘দেউচা–পাঁচামিতে শিল্প হচ্ছে। সেখানে সুনীলকে আমি দায়িত্ব দিয়েছি।’ এই নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় অনুব্রত নিজে কোনও পদের প্রতি লালায়িত নন বোঝাতে চেয়েছেন। এমনকী তিনি যা করেন তা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বলে এমন মন্তব্য করেছেন।