গত লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক জমির ফসল ঘরে ওঠেনি। তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ‘বাংলার নিজের মেয়ে’র উপর ভরসা রেখেছে ঝাড়গ্রাম। জঙ্গলমহলে হারানো জমি পুনরুদ্ধার অনেকটা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই প্রতিদানে এবার মা–বোনদের শ্রদ্ধা জানানোর পালা। হ্যাট্রিক করে ক্ষমতায় এসে এই প্রথম জঙ্গলমহলে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ আগামী ৯ অগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলন দিবস এবং বিশ্ব আদিবাসী দিবসের দিন ঝাড়গ্রামে বিস্তর কর্মসূচি রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার ঝাড়গ্রামে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা উন্নয়ন যজ্ঞ শুরু হবে সেখান থেকে। সাধারণ মানুষের জন্য প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তাও খতিয়ে দেখবেন তিনি। আর কোন কোন প্রকল্পের কাজ বাকি রয়েছে তা আধিকারিকদের থেকে জেনে নেবেন। তারপর জেলাশাসকের অফিসে সিধু–কানহু হলে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, অনুষ্ঠান শেষে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনেও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক জমির ফসল ঘরে তোলে বিজেপি। সেখানে তখন ফোটে পদ্ম। ঝাড়গ্রাম আসনে জয়ী হন বিজেপির কুমার হেমব্রম। সাংসদ হন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল অনুযায়ী, ঝাড়গ্রামের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবে একুশের নির্বাচনে পরিবর্তন ঘটে। সেই পরিবর্তন নজরেও পড়ে। ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়, ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাজে আসেনি বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার প্রতিশ্রুতি। উলটে বাংলার নিজের মেয়ের উপর ভরসা রেখেছে জঙ্গলমহল।