করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর শংসাপত্র হাতে পেয়েছিল পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জারি করা ওই শংসাপত্র হাতে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন আত্মীয় স্বজনেরা। অথচ দেহ নিতে ওয়ার্ডে ঢুকে ডোম দেখলেন, দিব্যি বেঁচে আছেন ‘মৃত’ ঘোষিত ওই রোগী! ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীর নেতাজি সুভাষ স্যানেটোরিয়াম কোভিড হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই করোনা আক্রান্ত রোগীর নাম সুব্রত কর্মকার (২৬)। বাড়ি রানাঘাটের ধানতলা থানার হিজুলির ঘোষের মোড় এলাকায়। ১০ মে জ্বর ও বুকে ব্যথার সমস্যা নিয়ে সুব্রতকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে, ১২ মে রাতে তাঁকে কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই রোগীর পরিবারের বক্তব্য, ১৪ মে সকালে হাসপাতাল থেকে এক নার্স তাঁদের ফোন করে জানান, তাঁদের রোগী মারা গিয়েছেন। এরপর তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে যান তাঁরা।
কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে দেখতে পারেননি তাঁরা। সন্ধ্যায় হাসপাতালের তরফে সুব্রতর মৃত্যুর শংসাপত্র পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই ডোম এসে তাঁদের জানান, রোগী বেঁচে আছেন। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর আত্মীয়রা।এর পর আত্মীয়দের ক্ষোভ সামলাতে তড়িঘড়ি তাঁদের ওয়ার্ডে রোগী দেখাতে নিয়ে যায় হাসপাতাল।কিন্তু শুক্রবার রাতেই ভয়ে রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা।
কীভাবে সেই ঘটনা ঘটল, এ বিষয়ে কল্যাণীর মহকুমাশাসক হীরক মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টা শুনেছি। বিস্তারিতভাবে বিষয়টা জানাতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলেছি আমি।’ এ বিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, ‘একটা ভুল হয়েছে। তার কারণ একই নামে দু’জন রোগী প্রায় একই সময়ে ওই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। দু’জন রোগীর নথিপত্র একইরকম হওয়ায় এই ভুল হয়েছে।’