পাচারের ঠিক আগে প্রায় এক কোটি টাকার বার্মা টিক কাঠ উদ্ধার করল বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত খবর পান ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে অসম থেকে কলকাতায় পাচার করা হবে প্রচুর পরিমাণ বার্মা টিক। সেই খবরের উপর ভিত্তি করেই অপারেশন চালায় বন দফতর। আর বমাল ধরা হয়।
ঠিক কী করেছে বন দফতর? মাঝরাতে ওই খবর উপর ভিত্তি করে রাজগঞ্জের পানিকৌড়ি এলাকায় টিম নিয়ে ঘাপটি মেরে বসেছিলেন রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত। আর রাতে তাঁরা সন্দেহভাজন একটি ট্রাক এবং কন্টেইনার দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করেন। এই তল্লাশিতেই বেরিয়ে আসে গাড়ি ডিকি ভর্তি বার্মা টিক। এখন যার আনুমানিক বাজারমূল্য এক কোটি টাকা। দুই গাড়ির চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। নাকা চেকিং করতেই ধরা পড়ে ট্রাক ও কন্টেইনার।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে বন দফতর? এই ঘটনার তদন্তে নেমে বন দফতরের অফিসাররা জানতে পারেন, ধৃতরা কলকাতায় সুনীল এবং গোপাল ভালোটিয়ার কাছে কাঠগুলি পাচার করতে যাচ্ছিল। ট্রাক ও কন্টেইনার মিলে প্রায় এক কোটি টাকার কাঠ রয়েছে। এই মূল্যবান কাঠও চোরাই করে আনা হয়েছে। ধৃত দু’জনের মধ্যে একজনের বাড়ি কেরল অন্যজনের বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশ। ধৃতদের নাম সাজি এন এবং শঙ্কর গঙ্গা রাজু। আগামীকাল, শনিবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বন দফতর সূত্রে খবর, অসমের ইমতিয়াজ আলি নামে এক ব্যক্তি এই কাঠ পাচারের নেপথ্যে রয়েছেন। তাঁর কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট গোটা ঘটনার পিছনে আন্তঃরাজ্য কাঠ পাচার চক্র কাজ করছে। আর কাঠ পাচারের ক্ষেত্রে কলকাতারও একটি বড় চক্র সক্রিয় হয়েছে। সেক্ষেত্রে চাঁইয়ের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। চলছে দফায় দফায় জেরা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup