বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Dakshineshwar School Controversy: ক্লাসে ‘মারাত্মক ভুল’, এরপরই কাঁচি দিয়ে ৭ ছাত্রের চুল কাটলেন খোদ প্রধান শিক্ষিকা!

Dakshineshwar School Controversy: ক্লাসে ‘মারাত্মক ভুল’, এরপরই কাঁচি দিয়ে ৭ ছাত্রের চুল কাটলেন খোদ প্রধান শিক্ষিকা!

দক্ষিণেশ্বরের স্কুলে ছাত্রদের শাস্তি দিতে চুল কেটে দিলেন প্রধান শিক্ষিকা

কাঁচি দিয়ে ছাত্রদের চুল কাটলেন প্রধান শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলে। প্রধান শিক্ষিকার এহেন অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ছাত্ররাও।

ক্লাসে ‘মারাত্মক ভুল’ করে ফেলেছিল ছাত্ররা। দিয়ে ফেলেছিল শিস। আর এর শাস্তি স্বরূপ, কাঁচি দিয়ে ছাত্রদের চুল কাটলেন প্রধান শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণেশ্বরের আড়িয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলে। প্রধান শিক্ষিকার এহেন অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ছাত্ররাও।

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা যায়, স্কুলের নবম শ্রেণিতে তখন ভৌতবিজ্ঞানের ক্লাস চলছিল। অভিযোগ, সেই ক্লাস চলাকালীন শিস দেয় কোনও এক ছাত্র। ক্লাসে থাকা শিক্ষিকা জানতে চান কে এই কাজ করেছে। তবে কেউ মুখ খোলেনি। কোনও উত্তর না পেয়ে সন্দেহের বশে ৭ জন ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদারের ঘরে। প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদার সেই ছাত্রদের থেকে জানতে চান যে কে শিস দিয়েছিল। জবাব না পেয়ে ওই ৭ জন ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেন প্রধান শিক্ষিকা।

এই আবহে অভিভাবকদের অভিযোগ, কে শিস দিয়েছে তা না জেনে এভাবে সাতজনের চুল কাটা হল কেন? ক্লাসে শিস দেওয়া গুরুতর অপরাধ। তা বলে চুল কেটে শাস্তি দেওয়া কোথাকার বিধান? এই আবহে প্রধান শিক্ষিকার শাস্তির দাবি উঠেছে অভিভাবকদের তরফে। অভিভাবকদের দাবি, ভুল করলে শাস্তি অনেক রকমের হতে পারত। তবে এভাবে স্কুলেই কাঁচি দিয়ে চুল কেটে দেওয়ার বিষয়টি তারা মানতে পারছেন না। তার থেকেও বড় কথা, যে সাতজনের চুল কাটা হয়েছে, তারা আদৌ শিস দিয়েছিল কি না, তা জানা নেই কারও। তারা ‘অপরাধীর’ নাম না বলতে পারায় তাদের চুল কাটা গেল। এটা অন্যায় বলে সরব অভিভাবকরা। এদিকে ছাত্ররাও এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রদের শাস্তি দিয়ে পালটা চাপের মুখে পড়েছেন কালাচাঁদ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী মজুমদার।

বন্ধ করুন
Live Score