বৃদ্ধ বাবার মৃতদেহ আগলে ৩ দিন ধরে বসে রইল মেয়ে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতা লাগোয়া সরশুনায়। বুধবার প্রতিবেশীরা পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দেন। সরশুনা থানার পুলিশ গিয়ে ৮৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দেহ উদ্ধার করেন।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অন্তত ৩ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে রবীন্দ্রনাথবাবুর। তার পর থেকে বাবার দেহ আগলে বসে ছিলেন মেয়ে। এরই মধ্যে ফ্ল্যাটটি থেকে পচা গন্ধ বেরোতে থাকে। বুধবার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীদের দাবি, ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় রবীন্দ্রনাথবাবু স্ত্রী ছায়া চট্টোপাধ্যায়ের। তখনও দেহ আগলে বসে ছিল পরিবার। তার পর মৃত্যু হয় রবীন্দ্রনাথবাবুর ছেলের। তখনও বাবা ও মেয়ে মিলে ভাইয়ের দেহ আগলে বসে থাকেন। এবার রবীন্দ্রনাথবাবুর মৃত্যুর পরও দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেনি মেয়ে।
ঘটনায় মেয়ের মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। প্রয়োজনে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে থানাসূত্রে।
২০১৫ সালের ১০ জুন মধ্য কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাসভবন থেকে উদ্ধার হয় দেবযানী দে নামে এক মহিলার দেহ। দীর্ঘদিন ওই দেহের সঙ্গে বসবাস করছিলেন তাঁর ভাই পার্থ দে।