ফের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের আওয়াজ উঠল। এবার সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিংকে যুক্ত করে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে সরব হল বিজেপির জোটসঙ্গী সিপিআরএম, অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ। কিছুদিন আগে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। তাঁকে সমর্থন করেন আরও কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে রাজ্যপালের কাছে দরবার করল বিজেপির শরিক দল। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসেবে চাওয়া যে বিজেপির দলীয় অবস্থান নয়, সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জোট সঙ্গী সিপিআরএম নেতা রত্নবাহাদুর রাই। সিপিআরএম নেতা জানান, জিটিএ কোনও বিকল্প নয়। ১০০ বছরের এই পুরনো দাবি এই গোর্খাল্যান্ড। গোর্খাদের পরিচয় হল এই গোর্খাল্যান্ড। এখন আলাদা কোচবিহার রাজ্যের কথা বলা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করতে হবে পাহাড়কে। দার্জিলিং ও সিকিমকে একসঙ্গে জুড়তে হবে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন গোর্খা লিগের নেতা প্রতাপ খাতি। তিনি জানান, পৃথক রাজ্য নয়। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। উন্নয়ন নেই। সার্বিক উন্নয়ন চাই। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে রাজ্যপালের কাছে দরবার করেন গোর্খা রাষ্ট্রীয় কংগ্রেস নেতা সুবোধ পাথরিন। তাঁর মতে, জিটিএ কোনও বিকল্প নয়। পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য চাই।
যদিও পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য বা কেন্দ্রীয় শাসিত এলাকা করার প্রতিবাদে এদিনও বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকরা। শিলিগুড়ির বিধাননগরে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা, সৌমিত্র খাঁ ও বিধায়ক দুর্গা মুর্মুর কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদে সামিল হন তৃণমূল কর্মীরা। এদিকে ডাবগ্রাম–ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বিধায়ককে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি তুলেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, শিখা পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য গড়ার দাবিতে সায় দিয়েছিলেন।
দিয়েছিলেন।