নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে নেমে দিঘায় সলিল সমাধি কলকাতার পর্যটকের

যাবতীয় সতর্কতা সত্বেও সম্প্রতি দিঘায় সমুদ্রে সলিল সমাধির একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। রবিবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল আরেকবার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস থাকায় এদিন সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। মাইকে প্রচার করে জানানো হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার কথা।

উত্তাল দিঘার সমুদ্র। ফাইল ছবি (নিজস্ব চিত্র)

নিষেধাজ্ঞা সত্বেও দিঘায় সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন কলকাতার পর্যটক। রবিবার দুপুরে পুরনো দিঘার ঘোলা ঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কল্যাণ দাস (৪৮) কলকাতার চারু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। নুলিয়ারা দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

যাবতীয় সতর্কতা সত্বেও সম্প্রতি দিঘায় সমুদ্রে সলিল সমাধির একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। রবিবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হল আরেকবার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস থাকায় এদিন সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। মাইকে প্রচার করে জানানো হয়েছিল নিষেধাজ্ঞার কথা। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘোলা ঘাটে স্নান করতে নেমেছিলেন কল্যাণবাবুসহ কয়েকজন। নিম্নচাপের জেরে বেশ উত্তাল ছিল সমুদ্র। এরই মধ্যে তলিয়ে যান চারুমার্কেট থানার ওই বাসিন্দা। সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন নুলিয়ারা। কিছুক্ষণের মধ্যে উদ্ধার হয় কল্যাণবাবুর নিথর দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

নিম্নচাপের সতর্কতা জারি করে দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমণিতে চলছে মাইকিং। পর্যটকদের সমুদ্রের কাছে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। সোমবার বিকেলের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। তবে বেপরোয়া কিছু পর্যটক নিষেধাজ্ঞার পরোয়া না করে নেমে পড়ছে সমুদ্রে। যার জেরে ঘটছে একের পর এক মৃত্যু।