গরুপাচার মামলায় এবার ইডি রাজ্যের একাধিক পুলিশ অফিসারদের ডেকে পাঠাল। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ূন কবীর–সহ বীরভূমের ডিআইজি পদমর্যাদার দুই অফিসারকে নয়াদিল্লিতে ইডি’র দফতরে তলব করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী ৩ থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হাজিরার সম্ভাবনা আছে বলেও জানা গিয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এখন এনামুল হক, সায়গল হোসেন নয়াদিল্লির তিহাড় জেলে আছেন। গরুপাচার মামলায় তাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন। এবার পুলিশ কর্তাদের ডেকে পাঠানোয় চাপ বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কাকে তলব করা হয়েছে? আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে তলব করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে। এমনকী আজই ইডির সদর দফতরে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই ব্যবসায়ী সঞ্জীব মজুমদারকে আগে রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, বীরভূমের একটি চালকলের মালিক সঞ্জীব মজুমদার। আর এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে অনুব্রত যোগ স্পষ্ট মিলেছে। তাই আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে ইডি অফিসাররা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। বেশ কিছু টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন এই সঞ্জীব।
আর কী জানা যাচ্ছে? গরু পাচার মামলা প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর অনুব্রত মণ্ডলকে জেরাও করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। আর ইডিও ‘শোন অ্যারেস্ট’ করেছে তাঁকে। ইডি চায় অনুব্রতকে নয়াদিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে। তাই নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করেছে ইডি।
উল্লেখ্য, গত ১১ অগস্ট অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সূত্রের খবর, তদন্তে অনুব্রতর প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মেলে। সেই সম্পত্তির উত্স এবং কালো টাকার রংবদল নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রতকে টানা ৫ ঘণ্টা জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উপযুক্ত উত্তর না মেলায় সেদিনই অনুব্রতকে শোন অ্যারেস্ট করে ইডি। তারপরই নয়াদিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করার আবেদন জানান ইডির আধিকারিকরা। অনুব্রতকে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। তারই মধ্যে ইডি রাজ্যের একাধিক পুলিশ অফিসারদের তলব করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।