দীর্ঘ দড়ি টানাটানির পরেও এখনও জমি জটে আটকে রয়েছে বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনীকিকরণের কাজ। এদিকে নানা কারণে বিমানবন্দরের উপর চাপ যথেষ্ট বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগকারী অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই এয়ারপোর্টকে সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা ক্রমশ বেড়েছে গত কয়েকবছরে। কয়েক বছর আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নাইট ল্যান্ডিং ব্যবস্থা চালুর জন্য় রাজ্য় ২০ একর জমি দেয়। এদিকে ওই জমির একাংশ বায়ুসেনার ছিল। তাঁরাও সেই জমি দিয়েছিলেন। এরপর বিমানবন্দর চালু থাকার সময়সীমাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে একাধিক বিমানও বেড়ে যায়। যাত্রী সংখ্যাও ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেই সময়তেই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়তে থাকে। এরপর স্থানীয় বাগানের জমি নিয়ে সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমির সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই জট পুরোপুরি মেটেনি এখনও ।এমনটাই খবর বিমানবন্দর সূত্রে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সম্প্রসারণের জন্য যে জমির প্রয়োজন তাতে বায়ুসেনার জমিও পড়ে যাচ্ছে। এতেই কিছুটা জটিলতা তৈরি হয়েছে।
সেকারণে গত অক্টোবর মাসে সরকারি উদ্যোগে জমি হস্তান্তরের কথা ঘোষণা করার পরেও এই সম্প্রসারণ পুরোপুরি শুরু করা যায়নি। সূত্রের খবর, রানওয়ে, বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০৫ একর জমি। এদিকে পরিকল্পনা রূপায়নের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দেখা যায় নির্ধারিত জমির মধ্যে কিছুটা জমি বায়ুসেনার জমি রয়েছে। সেই জমি হস্তান্তরের ছাড়পত্র এখনও মেলেনি। কার্যত এর জেরেই থমকে গিয়েছে যাবতীয় কাজ। তবে সরকারি সূত্রে খবর, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বায়ুসেনা সহ সমস্ত পক্ষই যথেষ্ট সহায়তা করছে। রাজ্য সরকারও এব্যাপারে সমণ্বয় রক্ষা করছে। সেক্ষেত্রে জমি জট দ্রুত কাটবে, আশাবাদী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।