সিঙুরে প্রস্তাবিত টাটা কারখানার জমিতে মাছ চাষের ভেড়ি খোড়া নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে প্রকল্পের নামই বদলে দিল রাজ্য সরকার। আত্মিক প্রকল্পের বদলে জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীনে কাজ চলছে বলে নতুন করে ব্যানার লাগানো হয়েছে সেখানে। তবে তাতে বিতর্ক থামছে না। ওদিকে মঙ্গলবার থেকে ভেড়ি খোড়ার কাজ বন্ধ রয়েছে।
গত শনিবার সিঙুরে টাকা প্রকল্পের জমিতে বড় বড় যন্ত্র দিয়ে ভেড়ি খোড়ার কাজ শুরু হয়। জানা যায়, সেখানে চাষ হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই দেখে বিনামূল্যে চাষিদের ভেড়ি খুড়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সরকারি প্রকল্পের অধীনে চাষিদের ৩ বছর বিনামূল্যে দেওয়া হবে মাছের চারা, খাবার ও ওষুধ। প্রকল্পের ভিতরে ৩ বিঘা বা তার বেশি জমি থাকলেই পাওয়া যাবে এই সুবিধা।
এই খবর প্রচারিত হতেই সরকারের তুমুল সমালোচনা শুরু করে বিরোধীরা। গাড়ির কারখানা তাড়িয়ে সেখানে ভেড়ি তৈরি হচ্ছে বলে সোচ্চার হয় তারা।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান দুধকুমার মণ্ডল দিন কয়েক আগে মাছ চাষের প্রকল্পের কথা জানালেও এদিন তাঁর মুখে শোনা গেল অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘এখানে আত্মিক প্রকল্পের মাধ্যমে জলাশয় তৈরি হবে। এই জলাশয় থেকে চাষিরা জল পাবেন। আমাদের এখানে নলকূপ পোঁতো নিষিদ্ধ। তাই এভাবে জল সংরক্ষণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে কেউ চাইলে মাছ চাষও করতে পারেন।’
তৃণমূলের এহেন দাবিতে বিজেপির কটাক্ষ, ‘কখনো বলছেন, মাছ চাষ হবে। কখনো বলছেন, চাষিরা জল পাবেন। দুটো একসঙ্গে হয় না কি? কেউ মাছ ছাড়ার পর যদি চাষিদের জলের প্রয়োজন হয় তখন মাছগুলোর কী হবে? সরকার আসলে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।’ সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, অন্যের ক্ষেতের জন্য জল ধরে রাখতে কেন নিজের জমিতে ভেড়ি খুড়তে দেবেন চাষিরা?