বিজেপিতে যোগদানের জল্পনার মধ্যেই ফের একবার বিস্ফোরক রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের নাম না করে তৃণমূল নেতৃত্বকে বেঁধেন তিনি। কারও নাম না করে তাঁর কটাক্ষ, ‘পিছন থেকে ধরে সাইকেল চালানো শেখা যায় না।’
এদিন পটাশপুরে আড়গোয়াল পঞ্চায়েতের প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও অনুষ্ঠান মঞ্চে ছিল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি। অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, ‘শুধু যদি পার্টি নিয়ে কাজ করেন তাহলে কিছুদিন থাকবেন, বেশিদিন থাকবেন না। মানুষকে নিয়ে যদি কাজ করেন তাহলে অনেকদিন থাকবেন। কারণ যতই ক্ষমতার দম্ভ দেখান না কেন, মানুষই শেষ কথা বলে। আমি তো নন্দীগ্রামের লড়াইতে দেখেছি। মানুষের আবেগটা যদি জিততে পারেন তাহলেই একমাত্র টিকে থাকবেন’।
এর পর নাম না করে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘সাইকেল থেকে পড়ে সাইকেল চালাবেন, তাহলে তাড়াতাড়ি সাইকেল চালানো শিখে যাবেন। লোক পিছন থেকে ঠেলে ঠেলে তুলে তুলে ধরে তাহলে অনেক সময় লাগবে সাইকেল চালানো শিখতে। ছমাস, আট মাস লেগে যাবে’।
পালটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবু মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি উনি কেমন গণতান্ত্রিক ভাবে চালিয়েছেন তা আমরা দেখেছি। আর সরকারি প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিলেও তাঁর ছবি কেন ছিল না তা স্থানীয় বিডিওর কাছে জানতে চেয়েছি। শোকজ করতে বলেছি পঞ্চায়েত প্রধানকে।’