ব্ল্যাকমেলের জেরেই কী পামেলার জীবন শেষ হয়ে গেল? ক্যারাটে চ্যাম্পিয়ন পামেলা অধিকারীর মৃত্যুর তদন্তে নেমে নয়া মোড় পেল পুলিশ। আর তা থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে। এই ঘটনায় উঠে আসছে সানি খান বলে এক যুবকের নাম। যদিও ওই নামটি ভুয়ো বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। আসল পরিচয় খোঁজার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এমনকী আসল ফোন নম্বরও খোঁজ করা হচ্ছে।
এদিকে পামেলার আত্মহত্যা নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়ের বাবা মলয় অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, পামেলার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই এক অপরিচিত যুবক তাঁদের ফোন করে বলে যে, সে ভুল করে ফেলেছে। নাম, পরিচয় জানতে চাইতেই ফোন কেটে দেয় সে। সেই ফোন নম্বর ইতিমধ্যেই পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে, পামেলাও আত্মঘাতী হওয়ার আগে নিজের মোবাইলের পাসওয়ার্ড লিখেছিল হাতে। পুলিশ সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে মোবাইল খুলেছে। সেখান থেকে কিছু তথ্য মিললেও অনেক কিছু অধরা। তবে মোবাইল খোলা গেলেও হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আলাদা থাকায় তা খোলা যায়নি। সুতরাং এখনও তদন্তে সাফল্য মেলেনি।
এই পরিস্থিতিতে বালি থানার পুলিশ লালবাজারের সাইবার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে। রবিবার পামেলার হাওড়ার দেশবন্ধু ক্লাব এলাকা থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পামেলার পরিবারের অভিযোগ, কিশোরীকে খুন করা হয়েছে। মাত্র ১৪ বছরেই ক্যারাটে খেলোয়াড় হিসেবে নাম করেছিল পামেলা। জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিয়েছিল সে। বাড়ি ভর্তি নানা পদক রয়েছে।