প্রায় তিন মাস কর্মহীন। নেই উপার্জন। হাতে জমানো টাকাও ফুরানোর পথে। সরকারের দাক্ষিণ্যেই বা কতদিন? সব শেষে গ্রাম থেকে ফের কর্মস্থলের দিকে যাত্রা শুরু করলেন শ্রমিকরা। লক্ষ্য একটাই, পুরনো ব্যস্ততায় ফেরা।
করোনার জেরে লকডাউন শুরুর পর কাজ হাজিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে ফিরতে হয়েছে ভিটেয়। স্ত্রী পরিবার-সহ নানা ঝক্কি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছতে হয়েছে তাঁদের। তার পর প্রায় ৩ মাস নেই কোনও আয়। ভরসা ছিল সরকারি রেশন আর জমানো কিছু টাকা। পাখির ঠোঁটে লেগে থাকা কণার মতো সেই সঞ্চয়ও ফুরাতে সময় লাগেনি বেশি দিন। ওদিকে গ্রামে নেই উপার্জনের কোনও পথ। অবশেষে তাই ফের শহরের পথ ধরেছেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে কলকাতার বাসে ওঠেন প্রচুর শ্রমিক। গন্তব্য কর্মস্থল। তেমনই একজন মুজাহিদ আলম জানালেন, ‘আমরা রাজমিস্ত্রির কাজ করি। এখানে সেই কাজ কোথায়? ১০০ দিনের কাজ মিলছে বটে, কিন্তু তার পারিশ্রমিক পাওয়া যাবে কয়েক মাস পর। এতদিন চলবে কী করে?’
চোপড়ার কালিগছ, বকসাবাড়িতে মাস খানেক আগেও প্রচুর মানুষ ফিরেছিলেন হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে। তারাই আবার ফিরে যাচ্ছেন কাজের খোঁজে। বসে থাকলে তো চলবে না।