২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষাক পাঠ্যক্রমে আমূল পরিবর্তন এনেছে পর্ষদ। পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়েছে ত্রিকোণমিতি, বামপন্থী ও শ্রমিক আন্দোলন। অষ্টম শ্রেণিতে সিঙ্গুর আন্দোলন পড়ানো হলেও দশমে বামপন্থী ও শ্রমিক আন্দোলন বাদ পড়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিকে সিলেবাস কমিটির দাবি, পাঠ্যক্রম থেকে এই বিষয়গুলি বাদ পড়ার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। পাঠ্যক্রমের শেষাংশ বাদ দেওয়া হয়েছে, তাই এই সব বিষয় বাদ পড়েছে।
কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মোট পাঠ্যক্রমের ৩০-৩৫ শতাংশ বাদ দেওয়া হচ্ছে। তাই পাঠ্যসূচি থেকে বাদ পড়েছে ত্রিকোণমিতি,জৈব রসায়ন,পরিবেশ,ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন, ভারতে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন,স্বাধীনতা-উত্তর ভারত,অজৈব রসায়নের কিছু অংশ সহ বিভিন্ন বিষয়। ত্রিকোণমিতি বাদ পড়া প্রসঙ্গে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যর কটাক্ষ, ত্রিকোণমিতি না পড়লে তো ব্রিজ ভেঙে পড়বে।
এদিকে তেভাগা আন্দোলন বাদ পড়া প্রসঙ্গে সৃজন দাবি করেন, তৃণমূল ও বিজেপি তো একই। এরা ইতিহাস ও ঘটনাবলিকে বিকৃত করছে। তবে সিলেবাস কমিটির দাবি, করোনা অতিমারীর জেরে আপত্কালীন কাটছাঁট হয়েছে পাঠ্যক্রমে। জয় গোস্বামী ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাদ পড়েছে। এর মধ্যে রাজনীতির কারণ খোঁজা ঠিক নয়।
মূলত গতবারেও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাসও বাদ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল পর্ষদ। পরীক্ষার প্রস্তুতি ও নিয়ে নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শে এবং অভিভাবকদের মতামতের নিরিখে পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।