বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ১৭ দিন পর সোমবার থেকে ফের হাওড়ার মঙ্গলাহাটে শুরু হয়েছে কারবার। আর সেই রাতেই হাটে অগ্নিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শান্তিরঞ্জন দেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাতে দমদম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শান্তিরঞ্জনকে। নিজেকে হাটের মালিক বলে দাবি করতেন শান্তিরঞ্জন। হাটের ব্যবসায়ীদের দাবি, হাট উচ্ছেদ করতে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়েছেন শান্তিরঞ্জনই।
গত ২০ জুলাই রাতে হাওড়ার মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে যায় প্রায় ৪০০০ দোকান। মাথায় হাত পড়ে প্রায় ৫০০০ ব্যবসায়ীর। ওই ঘটনায় প্রথম থেকেই ব্যবসায়ীদের অভিযোগের আঙুল ছিল শান্তিরঞ্জনের দিকে। তাঁদের দাবি ছিল, গভীর রাতে লোক লাগিয়ে পেট্রল ঢেলে হাটে আগুন লাগিয়েছেন তিনিই। হাটের জমি প্রোমোটারের হাতে তুলে দিতে তিনি এই কাজ করেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। যদিও শান্তিরঞ্জনের বিরুদ্ধে এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।
ঘটনার ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে সোমবার থেকে ফের কারবার শুরু করেছেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। আর সেই রাতেই শান্তিরঞ্জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে তারা। হাটে অগ্নিকাণ্ডের পিছনে কারও হাত রয়েছে কি না তা জানতে শান্তিরঞ্জনকে জেরা করবেন গোয়েন্দারা। মূল অভিযুক্তের গ্রেফতারিতে খুশি মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের অন্যতম বড় কাপড়ের হাট হাওড়ার মঙ্গলাহাট।