অভিষেকের নব জোয়ার কর্মসূচিতে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই আছে। তারই মধ্যে এবার অভিষেকের সভাস্থল থেকে উদ্ধার হল ভোট দেওয়া ব্যালট। যা দেখে তৃণমূল কর্মীদেরই প্রশ্ন, তাহলে কি প্রার্থীবাছাইয়ের নামে প্রহসন চলছে?
মঙ্গলবার সকালে মালদার চাঁচল স্টেডিয়ামের মাঠে নব জোয়ার কর্মসূচির ভোট দেওয়া ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে আসে তৃণমূল স্থানীয় নেতৃত্ব। এর পর দেখা যায় স্থানীয় ব্যালট তো বটেই উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু ব্যালটও সেখানে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। এর পরই ক্ষোভ ছড়ায় তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে।
গত ৩ মে চাঁচলে ছিল নব জোয়ার কর্মসূচির অধীনে রাত্রিবাস করেন তিনি। রাত ৮টা নাগাদ অভিষেক সেখানে পৌঁছলে শুরু হয় নব জোয়ার কর্মসূচির অধীনে ভোটগ্রহণ। আর ভোটগ্রহণ শুরু হতেই ছড়ায় বিশৃঙ্খলা। কখনও ব্যালটে কারচুপি, কখনও অন্যান্য বেনিয়মের অভিযোগে সরব হন তৃণমূল কর্মীরা। তার পর থেকে কার্যত লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে চাঁচল স্টেডিয়াম। বুধবার সেখানেই ভোট দেওয়া ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আবু মোহাম্মদ পারভেজ নুর। তিনি বলেন, ‘আমরা যে ভোট দিয়েছিলাম তারই ব্যালট এখানে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে দুই দিনাজপুরের কিছু ব্যালটও পড়ে রয়েছে দেখলাম। এই ব্যালট কলকাতায় নিয়ে গিয়ে গণনা হবে বলে শুনেছিলাম। সেগুলি কী ভাবে এখানেই পড়ে রইল জানি না। তাহলে কি প্রার্থী বাছাইয়ের পুরোটাই আই ওয়াশ?’ তিনি বলেন, যদি ধরেও নিই এই ব্যালট গণনা হয়েছে তাহলেও তা এভাবে পড়ে থাকবে কেন? তাহলে ব্যালটের গোপনীয়তা বলে কী থাকল? আমাদের কাছ থেকে গোপন ব্যালট বলে ভোট নিয়ে তা এভাবে প্রকাশ করে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এতে ভবিষ্যতে অভিষেকের কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মীরা ভোট দেওয়ার আগে দু-বার ভাববেন।
এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি জেলা তৃণমূলের কোনও নেতা।