পুরুলিয়ার বেগুনকোদর গ্রামপঞ্চায়েত। এলাকার অনুন্নয়নের নানা অভিযোগ। কর্মসংস্থানেরও যথাযথ ব্যবস্থা নেই। ভোটের আগে নানা গালভরা প্রতিশ্রুতি শুনেছিলেন মানুষগুলো। ভোট মিটতেই ফের সেই একই বঞ্চনার ছবি। তবে বড় কিছু নয়, বর্ষায় নুয়ে পড়া চালাঘরকে বাঁচানোর জন্য পঞ্চায়েতে একটি ত্রিপল চাইতে গিয়েছিলেন ছোটবাবু রাজোয়ার। অশক্ত শরীরে আশায় ভর করে গিয়েছিলেন পঞ্চায়েত অফিসে। কিন্তু অভিযোগ, একটা ত্রিপলও জোটেনি তাঁর কপালে। এদিকে ৫১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সাধারণত দিনমজুরের কাজ করেন। করোনারোধে কড়া সতর্কতাবিধি জারির জেরে সেই দিনমজুরের কাজও গিয়েছে তাঁর। এদিকে এর জেরে ছোটবাবুর আয়ও তলানিতে গিয়েছে। মাথা গোঁজার যে ঠাঁই সেটাও জীর্ণ হয়ে গিয়েছে। থাকার মতো অবস্থায় নেই। বৃষ্টি হলেই জল পড়ে। কিন্তু সেই জল আটকানোর জন্য তিনি একটা ত্রিপলও পাননি বলে অভিযোগ। সরকারি আবাস যোজনায় ঘরও পাননি তিনি।
পঞ্চায়েতের সীমাহীন দুর্নীতির জন্য়ই এভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন গরিব মানুষ। এমনটাই অভিযোগ ছোটবাবু রাজোয়ারের। সেকারণেই তিনি ঘুণ ধরা ব্যবস্থাকে একেবারে নগ্ন করতে সকলের সামনে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানালেন। তাঁর এই প্রতিবাদের ভাষা হয়তো পছন্দ হয়নি অনেকের। তবুও এছাড়া অন্য কোনও পথ পাননি ছোটবাবু। তবে তাঁর এই প্রতিবাদের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। সব মিলিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। অসহায় মানুষটির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।