সন্দেশখালিতে জনজাগরণের ৭ দিনের মাথায় সেখানে পৌঁছল কেন জাতীয় মহিলা কমিশনের ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার সেখানে পৌঁছে যদিও মহিলাদের দেখা পাননি তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশি অত্যাচারের ভয়ে সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকা জনমানবহীন।
মঙ্গলবার কলকাতা থেকে প্রথমে সন্দেশখালি থানায় পৌঁছয় জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদল। সেখান থেকে পুলিশি পাহারায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘোরেন তাঁরা। প্রথমেই অভ্যুত্থানের প্রাণকেন্দ্র পাত্রপাড়ায় যান প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সেখানে বাড়িতে মহিলাদের খোঁজ পাননি তাঁরা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, রাতে পুলিশি হয়রানির ভয়ে বাড়ি ছেড়েছেন বহু মহিলা। ফলে এলাকায় মহিলাদের দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ‘ঠাকুর তৈরি হয়ে চলে এসেছে’, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা
ওদিকে এদিনই সন্দেশখালিতে যায় রাজ্য সরকার গঠিত ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সেখানে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। মহিলারা জানিয়েছেন, রাত বিরেতে মিটিংয়ের নামে তাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখত উত্তম সরদার ও শিবু হাজরার বাহিনী। একাধিক মহিলার সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য সরকারের তৈরি কমিটির সদস্যরা। ঘুরে দেখেন গ্রাম।
রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার পর এক মহিলা জানান, ‘উত্তমের বাহিনী আমাকে এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে মিটিংয়ের নামে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখি গ্রামের আরও অনেক মহিলা সেখানে হাজির রয়েছেন। এর পর কিছুক্ষণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষ ভেবে আমরা যখন বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি তখন দেখি স্কুলের গেটে তালা দেওয়া রয়েছে। এর পর আমাদের জানানো হয় বৈঠক শেষ হয়নি। এভাবে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখার পর আমরা কয়েকজন মহিলা প্রতিবাদ করি। তখন গেট খুলতে বাধ্য হয়।’
আরও পড়ুন: বাড়িতে ইডি, বড়ঞার অনুপ্রেরণায় কৈখালির বহুতল থেকে মোবাইল ছুড়লেন শেয়ার ব্যবসায়ী
মঙ্গলবার সন্দেশখালি অভিযানের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। রামপুরের কাছে তাদের আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড করে কংগ্রেস কর্মীদের আটকানোয় পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায় তাদের। এর পর ধামাখালিগামী একটি বাসে উঠে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু তাদের আটকে দেয় পুলিশ।
মঙ্গলবার বসিরহাটের পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে বিজেপিরও। সেজন্য লোকাল ট্রেনে বসিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদারসহ ৩০ জন বিজেপি নেতাকর্মী। সুকান্তবাবু বলেন, গাড়ি করে গেলে তো রাস্তায় আটকে দেবে। ট্রেনকে পুলিশ আটকাতে পারবে না। তাই আমরা এই পথ নিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বসিরহাটের পুলিশ সুপারের অফিস থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।