বাইক সরাতে বলেছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ এক যুবককে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার এসআই আবুল মারজানের বিরুদ্ধে। ওই যুবকের হাড় ভেঙে গিযেছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই।
কালীপুজোর রাতে নুঙ্গি স্টেশন সংলগ্ন একটি ওষুধ দোকানের সামনে বাইক রাখা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাদা পোশাকে ওষুধ দোকানে আসেন মহেশতলা থানার এসআই। রাস্তার উপর এমনভাবে বাইক রেখেছিলেন যে যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছিল। সেজন্য বাইক সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানান সুমন্ত বেরা (৪১) নামে ওই যুবক। তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে দু'জনের কথা-কাটাকাটি হয়। দু'জনের মধ্যে হাতাহাতি হয় একপ্রস্থ। তারপরই সুমন্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান এসআই।
অভিযোগ, থানার মধ্যে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে সুমন্তকে বেধড়ক মারধর করেন আবুল। পরদিন সকালে জামিনে ছাড়া পান সুমন্ত। বাড়ি ফিরে তিনি ‘মারধরের’ কথা জানান। শারীরিক পরীক্ষার পর দেখা যায়, একাধিক হাত ভেঙে গিয়েছে। আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলছে।
সুমন্তের দাদা তথা তৃণমূল নেতা ও মহেশতলা পুরপ্রশাসক বোর্ডের সদস্য সুকান্তের বক্তব্য, অমানবিক আচরণ করেছেন ওই এসআই। অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছেন তিনি। তারপর এরকম আমুনষিক অত্যাচার করেছেন। পুলিশের থেকে এরকম আচরণ কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ঘটনার নিন্দা করেছেন মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস। অভিযুক্ত পুলিশ এসআইয়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে এসআইকে বরখাস্ত করার দাবি তোলা হয়েছে।
যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত এসআই। তাঁর পালটা দাবি, সুমন্তই তাঁকে মারধর করেছেন। বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনের উত্তর দেননি।