আজ থেকে রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। কিন্তু সেই বিধিনিষেধ মানার কোনও লক্ষণই নেই বসিরহাটে। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় নামতে হয় পুলিশ প্রশাসনকে। এরপরই ক্রমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রথমে লকডাউন অমান্য করেই বাজার, দোকান খোলা ছিল। কেনাকাটা চলছিল আর পাঁচটা দিনের মতোই। মানুষের জমায়েতও হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ব মানার কোনও বালাই নেই।খবর পেয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) আনন্দজিৎ হোড়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাস্তায় নামেন। তিনি এলাকার দোকানদারদের অনুরোধ করেন যাতে তাঁরা লকডাউন বিধি মেনে চলেন। পুলিশের এই তৎপরতায় সাড়াও মেলে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হওয়াও শুরু হয়ে যায়। তবে লকডাউনের সময়ে যেসব দোকান খোলা রাখার ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে, সেগুলিই শুধু খোলা থাকে।এদিন ডিএসপি জানান,‘সরকারি নিয়ম নীতি মেন সবাই দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছে।সবাই সহযোগিতা করছে।মানুষ করোনার সম্মন্ধে সচেতন হয়েছে।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা সংক্রমিত জেলার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগের। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪,২৭৯ জন। কলকাতাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এই উত্তর ২৪ পরগনারই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হচ্ছে বসিরহাট মহকুমা। সেখানে মানুষের মধ্যে নিজে থেকে সচেতনতার ছবি কিন্তু ধরা পড়ল না। মানুষকে সচেতন করতে রাস্তায় নামতেই হল পুলিশকে।