ইসিএল কোলিয়ারিতে কয়লা চুরির অভিযোগ। আর তাতে বাধা দিতেই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন পুলিশ এবং সিআইএসএফ জওয়ান। কিছুদিন আগে এখানে নিরাপত্তারক্ষীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে আরও বড় আকার ধারণ করল। ইসিএলের পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার সোনপুর বাজারি সিএইচপিতে মারধর করা হল পুলিশ–জওয়ানকে। গোটা ঘটনার তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে ইসিএল–এ? পুলিশ সূত্রে খবর, ইসিএলের সোনপুর বাজারি সিএইচপিতে রাতের অন্ধকারে কয়লা চুরি করতে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে এক কর্মী খবর দেয় সিআইএসএফ জওয়ানকে। মালগাড়ির ওয়াগান থেকে কয়লা লুঠ করা হচ্ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিআইএসএফের জওয়ানরা তাতে বাধা দেয়। তখনই দুষ্কৃতীরা মারধর করতে শুরু করে। জওয়ানরা এই হঠাৎ আক্রমণে হতচকিত হয়ে পড়েন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
তারপর সেখানে কী ঘটল? জওয়ানরা স্থানীয় পুলিশকেও খবর দেয়। পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ সেখানে পা রাখতেই দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। ব্যাপক মারধর করতে শুরু করে। ভাঙচুর করে পুলিশের গাড়ি। গুরুতর জখম হন এক সিআইএসএফ জওয়ান। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোটা ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ইসিএল চত্বর।
পুলিশ–জওয়ান আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ইসিএলের পক্ষ থেকে পাণ্ডবেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। দুষ্কৃতীরা বেশি সংখ্যায় ছিল বলে বেগ পেতে হয়েছে তাঁদের। আগে থেকে পরিকল্পনা করে দুষ্কৃতীরা এখানে এসেছিল। একটা অংশ লুঠ করছিল। আর একটা অংশ ছড়িয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছিল। ফলে বোঝা যায়নি কত সংখ্যক দুষ্কৃতী সেখানে রয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা।