যানজটের দুঃস্বপ্নের দিন এবার শেষের পথে। কোনা এক্সপ্রেসওয়েকে ছয় লেন করার তোড়জোড় প্রায় চূড়ান্ত। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে রাস্তা চওড়া করতে গেলে দখলদার, হকার, জাতীয় সড়কের জায়গায় গড়ে ওঠা বাড়ি, দোকান সবই ভাঙতে হবে। ইতিমধ্যেই হাওড়া সিটি পুলিশ, পূর্ত দফতর, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। কোন জায়গাগুলিতে ভাঙা হবে, ঠিক কী ধরনের ব্যবস্থা করা হবে সেব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
রাস্তার দু'পাশে যারা জবরদখল করে আছে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ২৫০ জন দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা রাস্তার দুপাশে বেআইনিভাবে বাড়ি এবং দোকান তৈরি করেছে। তাদের সরিয়ে দেওয়া হলে এলিভেটেড করিডর তৈরির কাজ শুরু হবে।
এই কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে ঠিক কী ধরনের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে?
সব মিলিয়ে প্রায় ৭.২ কিমি এলাকা। সেখানে ৬ লেনের রাস্তা তৈরি হবে। বছর তিনেক সময় লাগবে এই রাস্তা শেষ করতে।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ক্যারি রোডের ফুটবল গেটের কাছ থেকে খেজুরতলা পর্যন্ত এই করিডর তৈরি হবে। প্রসঙ্গত, তিনটে সেতুর উপর দিয়ে যাবে এই উড়ালপুল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর উচ্চতা হবে কিছুটা বেশি হতে পারে।
খেজুরতলার দিকে নামার সময় এই উড়ালপুলের তিনটি র্যাম্প থাকবে। যার মধ্যে একটি র্যাম্প নিবড়ার দিক থেকে বের হবে। একটি সাঁতরাগাছি বাস টার্মিনাসের দিকে এবং অন্যটি যাবে জাতীয় সড়কের দিকে। তাতে যানজট থাকলে গাড়িগুলিকে অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মালবাহী লরি বা ট্রাকগুলিকে যানজট দেখা দিলে ড্রেনেজ রোড হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। একেবারে পরিকল্পনা অনেকটাই করে ফেলা হয়েছে। এবার কাজ শুরুর অপেক্ষা।
এই কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সরাসরি দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে, বম্বে রোড, দিল্লি রোডের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। এই কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট লেগেই থাকে। দীর্ঘ গাড়ির সারি। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। আপাতত সেই রাস্তাকে ছয় লেন করা হলে স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ির চাপ অনেকটা কমবে। যানজটও কমতে পারে পুরোদমে। এনিয়ে আশায় দিন গুনছেন বাসিন্দারা। ২০২৬ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩৯ কোটি টাকার।