‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগদান করে রাজ্যের জেলায় জেলায় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের সাংসদ – বিধায়করা। এবার দলের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ‘দূর হঠো’ পোস্টার সাঁটালেন তৃণমূল কর্মীরাই। ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীদ্বন্দের কথা মানলেও বিধায়কের দাবি, ‘ওসব সিপিএম – বিজেপির চক্রান্ত।’
বিধায়কের বিরুদ্ধে ‘দূর হঠো’ পোস্টার
রবিবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বনপাশ এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যোগদান করতে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মনগোবিন্দ অধিকারী। সঙ্গে ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি বাসুদেব যশ। বনপাশের কামারপাড়া গ্রাম থেকে কর্মসূচির সূচনা করেন তিনি। আর সেখানেই রাস্তার ধারে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় সাদা কাগজের ওপর কম্পিউটারে ছাপানো পোস্টার। তাতে লেখা, ‘মনগোবিন্দ অধিকারী দূর হঠো। ৩৫টি গরিব পরিবারের জমি কেড়ে বড়লোককে বিলিয়ে দেওয়া কার স্বার্থে?’
জমির দখল নিয়ে বিবাদ
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এলাকায় খাসজমির দখল নিয়ে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। তার জেরেই এই পোস্টার। গত বছর ১০ বিঘা জমির দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। তাতে আহত হন ১২ জন। তার পর থেকে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
গোষ্ঠীকোন্দলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্লক সভাপতি বাসুদেব যশ। তিনি বলেন, ‘কিছু লোক ব্যক্তিগত স্বার্থে দলকে ব্যবহার করছিল। বিধায়ক বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় তাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে।’
মানতে নারাজ বিধায়ক
ওদিকে ড্যামেজ কন্ট্রোলের মরিয়া চেষ্টা করেছেন মনগোবিন্দবাবু। তিনি বলেন, আমি কোনও পোস্টার দেখিনি। যদি পোস্টার পড়ে থাকে তাহলে নিশ্চিতভাবে তা সিপিএম – বিজেপির চক্রান্ত। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।