বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ আচমকাই ব্রেক কষতে লাইনচ্যুত হয় রেলের ১২টি কামরা। আর দুর্ঘটনার খবর সামনে আসতেই দিল্লি থেকে কলকাতা, সর্বত্রই তত্পরতা শুরু হয়ে যায়। আর দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার কিছুক্ষণ পরই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। গভীর রাতেই কলকাতায় চলে আসেন অশ্বিনী। তারপরই হাওড়া থেকে বিশেষ ট্রেনে ময়নাগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। আজ সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান রেলমন্ত্রী। আর সেখানে পৌঁছেই তিনি দুর্ঘটনার সম্বাভ্য কারণ নিয়ে মুখ খোলেন সাংবাদিকদের সামনে। ঘটনাস্থলে নিজে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন রেলমন্ত্রী। এদিন দুর্ঘটনাস্থলে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান, রেল বোর্ডের ডিজি (সেফটি)।
এদিন সাংবাদিকদের বৈষ্ণব বলেন, ‘মনে হচ্ছে কোনও যান্ত্রিক গোলমালের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি হয়েছে। কেন কীভাবে তা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখতে হবে। হঠাৎ করে কোনও যন্ত্রাংশ কীভাবে কাজ করা বন্ধ করল বা আদৌ কোনও যন্ত্র কাজ বন্ধ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত সম্পন্ন হলে বিস্তারিত জানতে পারব। লোকো পাইলটের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর কথায়, যন্ত্রাংশে হঠাৎ গোলমাল দেখা দিয়েছিল। তদন্ত করা হবে।’
দুর্ঘটনার নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কিনা, তা জানতে চাওয়া হলে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এখনই কোনও কিছু চূড়ান্ত করে বলা সম্ভব নয়। আমি এখানে এসেছি এই দুর্ঘটনার মূল কারণ জানার জন্য।’ পাশাপাশি রেলমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আমি নিজে এখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টির উপর নজর রাখছেন। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগাযোগ রয়েছে।’