অতিমারি পরিস্থিতিতে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে অক্সিমিটার। অক্সিজেনের লেভেল বাড়ল নাকি ঝুপ করে কমে গেল তা দেখার জন্য বাড়িতেই এই অক্সিমিটার কিনে রাখছেন অনেকে। বিভিন্ন হাসপাতালে, নার্সিংহোমেও অক্সিমিটার রাখা হচ্ছে। কিন্তু বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মটুকগঞ্জের একটি নার্সিংহোমের রেটচার্টে অক্সিমিটারের ভাড়া দেখে অনেকেই ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার মহকুমা শাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা ওই নার্সিংহোমে যান। এদিকে প্রতি ঘণ্টায় অক্সিমিটারের ভাড়া শুনে হতবাক তাঁরাও। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতি ঘণ্টায় অক্সিমিটারের ভাড়া হিসাবে ধার্য্য করা হয়েছে ৫০০ টাকা। অসহায় রোগীর পরিজনদের কাছ থেকেই এভাবেই মোটা টাকা নিচ্ছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ এমনটাই।
তবে রোগী ও রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, শুধু মোটা টাকায় অক্সিমিটার ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসার বিনিময়ে মোটা টাকা বিল করা হচ্ছে। এর জেরে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও তার পরিজনরা। এদিন মহকুমা শাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তবে বাসিন্দাদের দাবি, শুধু মটুকগঞ্জের এই নার্সিংহোমেই নয়, জেলার একাধিক নার্সিংহোমেই অতিরিক্ত বিল করা হচ্ছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর এব্যাপারে ইতিমধ্যেই কিছুক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে মটুকগঞ্জের ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, রেটচার্ট টাঙানো হলেও রোগীদের কাছ থেকে অত বিল নেওয়া হয় না।