নির্বাচনের আগেই তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের অন্দরে। এবার ঘাটাল মহকুমার দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেই উপপ্রধান মিলন জানাকে পদ থেকে সরানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তার আগেই বিডিওর কাছে ইস্তফাপত্র দিয়ে এলেন তিনি।
জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূলের কার্তিক রায়ের দাবি, ভোটের আগে থেকেই তলায় তলায় তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সেকারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, দলে থেকেও শুভেন্দু অনুগামী হিসাবে তলায় তলায় কাজ করতেন তিনি। তবে মিলন জানার দাবি, ব্যক্তিগত কাজ থাকার জন্যই তিনি স্ব ইচ্ছায় পদ থেকে সরতে চাইছেন। বিডিও অফিস সূত্রে খবর, ১৭ই মে তাঁকে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারী জিতলেও ঘাসফুলের দাপটে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব অনেকটাই কমেছে। সেকারণেই তাঁর অনুগামীরাও বেজায় সমস্যায় পড়েছেন। কার্যত সেকারণেই অনাস্থার মুখোমুখি হওয়ার আগেই দাসপুরের উপপ্রধান আরও কোণঠাসা হওয়ার আশঙ্কায় পদ থেকেই ইস্তফা দিলেন।প্রসঙ্গত সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতিও একইভাবে ইস্তফা দিয়েছেন। সেখানেও তৃণমূল অনাস্থা আনার প্রস্তুতি শুরু করতেই তিনি ইস্তফা দেন।