মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলা। আর এই দুর্ঘটনার জেরে একজনের হাত কেটে রাস্তায় পড়ে গেল। আর মোট সাতজন গুরুতর জখম হলেন। কলকাতার প্রতিবাদ সভায় যাওয়ার পথে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে শাসনে। জখম সাতজনকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখম শামিম হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঠিক কী ঘটেছে শাসনে? স্থানীয় সূত্রে খবর, পয়গম্বর নিয়ে নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে কলকাতায় একটি সভার ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই সভায় শাসন থেকে কয়েকজন যুবক যোগ দিতে আসছিলেন। পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের গাড়ি। তাতেই একজনের হাত কেটে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। আর বাকিদের অবস্থা চিকিৎসার পর স্থিতিশীল।
পুলিশ কী পদক্ষেপ করল? পুলিশ সূত্রে খবর, শাসন থানার পুলিশ ঘাতক গাড়িকে আটক করেছে। আর চালককে গ্রেফতার করেছে। ঘাতক গাড়ির চালকের নাম ইমরান আলি। আজ, বুধবার ধৃতকে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হবে। সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের ডাকে কলকাতায় প্রতিবাদ সভা ছিল। ওই প্রতিবাদ সভায় যোগ দিতে শাসনের ভাড়পাড়া থেকে একটি ৪০৭ গাড়িতে ৩০–৪০ জন যুবক রওনা দিয়েছিলেন। তাঁরা শাসনের বেলিয়াঘাটা–রাজারহাট ধরে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। তখন রাজারহাটের দিক থেকে একটি মুরগির খাবারের গাড়ি আসছিল। তীব্র গতিতে থাকার ফলে মুরগির খাবারের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৪০৭ গাড়িতে ধাক্কা মারে। ৪০৭ গাড়িতে থাকা শামিম হোসেনের ডান হাত রাস্তার দিকে বেরিয়েছিল। গাড়ির ধাকায় কাঁধ থেকে ডান হাত কেটে রাস্তায় পড়ে যায়।
তারপর সেখানে কী ঘটল? জানা গিয়েছে, গাড়িতে থাকা অন্যান্যরা গুরুতর জখম হন। তাঁদের বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ কাটা হাত উদ্ধার করে নিয়ে যায়। জখম যুবক ফিরোজউদ্দিন বলেন, ‘আমি পিছনের গাড়িতে ছিলাম। দুগদিয়া মোড়ের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। ওই গাড়ির ডানদিকে দাঁড়িয়ে থাকা সাতজনের হাতে–মাথায় মারাত্মক চোট লাগে। একজনের হাত কাঁধ থেকে কেটে পড়ে গিয়েছে।’