Shobuj Sathi cycle: সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়ার নামে পড়ুয়াদের থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ

শীতগ্রাম বিদ্যাভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু সংখ্যক পড়ুয়া সাইকেল নিয়েছে। তাদের কাছ থেকে এর জন্য ৫০ টাকা করে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই এলাকায় প্রচুর দরিদ্র মানুষের বসবাস, অনেকে দিনমজুরের কাজ করেন। ফলে এই টাকা দিতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে অভিভাবকদের।

সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়ার জন্য টাকা নিচ্ছে স্কুল। প্রতীকী ছবি 

পড়ুয়াদের সুবিধার্থে সবুজ সাথী প্রকল্প চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। যার মাধ্যমে পড়ুয়াদের সাইকেলের দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পের নামে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে রায়গঞ্জ ব্লকের শীতগ্রাম হাইস্কুলে। অভিযোগ, এই প্রকল্পে সাইকেল দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৫০ টাকা করে নিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতগ্রাম বিদ্যাভবন উচ্চ বিদ্যালয়ে সবুজ সাথী প্রকল্পে সাইকেল দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু সংখ্যক পড়ুয়া সাইকেল নিয়েছে। তাদের কাছ থেকে এর জন্য ৫০ টাকা করে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই এলাকায় প্রচুর দরিদ্র মানুষের বসবাস, অনেকে দিনমজুরের কাজ করেন। ফলে এই টাকা দিতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে অভিভাবকদের। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হলে কর্তৃপক্ষ কোনও কর্ণপাত করছে না বলে অভিযোগ। যদিও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পিউ দাস বলেন, ‘পড়ুয়াদের কাছ থেকে একটু টাকা নেওয়া হচ্ছে তা পরিবহণ খরচের জন্য নেওয়া হচ্ছে। সাইকেলগুলি সেবাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আনার জন্য যে পরিবহণ খরচ হয়েছে সেই অনুযায়ী এই টাকা নেওয়া হচ্ছে। আগের পরিচালন কমিটি এই টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’

এবিষয়ে রায়গঞ্জ ব্লকের বিডিও শুভজিৎ মণ্ডল জানান, কোনও সরকারি প্রকল্পে এইভাবে টাকা নেওয়া যায় না। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তদন্ত করার পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে, মেয়েদের স্কুলমুখী করতে, মাঝপথে ছেলেমেয়েদের পড়াশােনা বন্ধ হওয়া বা স্কুলছুট রুখতে এবং বাল্যবিবাহের হার কমাতে তথা সাধারণ পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশােনা ও স্বনির্ভরতায় উদ্দীপিত করতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প চালু করেছিলেন। যা শুধু বাংলায় নয়, সর দেশে সমাদৃত হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই।