একে তো করোনা আবহ। চারদিকে মৃত্যুর খবর। এসবের মধ্যেই বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদরের জলে ভাসছে এক যুবক। একেবারে হাওয়ার গতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল খবরটা। পাড় থেকে লোকজন ডাকাডাকিও শুরু করে দেয়। কিন্তু ওই যুবক একেবারে নট নড়নচড়ন। প্রায় দুঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। যুবক ভাসছে জলে। করোনায় মৃত্যুর পর দেহটিকে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে এমনটাই ভেবেছিলেন কেউ কেউ। এই সন্দেহটাই চেপে বসে বাসিন্দাদের মতে। কিন্তু এই দেহ এল কোথা থেকে?
একেবারে পাড়ের কাছে চলে আসে দেহটা। অগত্যা পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা। করোনার মৃতদেহ হলে সেটিকে তোলারও নানা ঝামেলা। সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। মোবাইলে ছবিও তোলা শুরু করেন অনেকে। বাসিন্দারাও হাত লাগান দেহটি তোলার কাজে। আচমকা যেন নড়েচড়ে ওঠে দেহটি। এদিকে পরনে কিছুই নেই ওই যুবকের। এসবের মধ্যে পুলিশকে দেখে কিছুটা ভাবাচ্যাকা খেয়ে যায় ওই যুবক। পুলিশ দেখেই দৌড় পালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। কিন্তু কিন্তু অত সহজে তাকে ছাড়তে চায়নি পুলিশ।
এভাবে সাঁতার কাটার নাম করে মজা করে বাসিন্দাদের উদ্বেগে ফেলার জন্য লাঠির ঘা খেতে হয়েছে তাকে। তবে এতক্ষণের টানটান উদ্বেগ থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বাসিন্দারা। বাসিন্দারা বলেন, এতবার ডাকাডাকি করছিলাম তুমি শুনতে পাচ্ছিলে না? যুবক নিরুত্তর। কিছুক্ষণ পরেই যুবক বলে, চুপ করেছিলাম। কিন্তু জামাকাপড় কোথায় গেল? যুবকের উত্তর, তোমাদের টানাটানিতে গামছাটা ভেসে গেল। আসলে এভাবেই দামোদরের জলে ভেসেছিল ওই যুবক। তার ভেসে থাকার এই কৌশলকে অবশ্য তারিফ করেছেন অনেকেই।