গতকাল শিবপুরে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর আজ হুগলির রিষড়ায় যেতে গিয়ে কোন্নগরেই থমকে যেতে হল তাঁকে। এদিন কোন্নগরে জিটি রোডের ওপর সুকান্তকে আটকাতে ব্যারিকেড করা হয়েছিল। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছিল। পরে বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। পুলিশ এরপর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে। জমায়েত সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সুকান্তকে রিষড়ায় যেতে দেওয়া যাবে না। আজ সুকান্তকে গাড়ি থেকে নামতেও বাধা দেওয়া হয়। এই আবহে সুকান্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলেন। (আরও পড়ুন: এপ্রিলে টানা দু'দিনের প্রশাসনিক ধর্মঘট করবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা, কবে হবে এই বনধ?)
প্রসঙ্গত, রবিবার রিষড়ায় একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেখানে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। রিষড়ার বাঙ্গুর পার্ক থেকে মাহেশ পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল সেই মিছিলের। দিলীপ ছাড়াও সেই মিছিলে ছিলেন পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ এবং শ্রীরামপুরের বিজেপি সভাপতি মোহন আদক। ওই মিছিল ওয়েলিংটন জুটমিল পেরিয়ে যাওয়ার মুখে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। রাস্তার ধারের গাড়ি, ঠেলা, গুমটিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিমান ঘোষ–সহ একাধিক নেতা জখম হন। (আরও পড়ুন: ভাতা-বেতনের 'অবৈধ কারসাজি', তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ডিএ আন্দোলনকারীরা)
এদিকে রিষড়ায় হিংসার ঘটনায় আজ সকাল পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনায় আটক হয়েছেন আরও অনেকে। এদিকে রিষড়া এবং মাহেশ এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সোমবার সকালে নতুন করে কোনও সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে। রবিবার (২ এপ্রিল) রাত ১০ টা থেকে আজ (৩ এপ্রিল, সোমবার) রাত ১০ টা পর্যন্ত রিষড়া ও আশেপাশের এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। এছাড়া সোমবার রাত পর্যন্ত যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এদিকে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হতে সাধারণ মানুষকে বারণ করেছে পুলিশ।