জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে বাগডোগরা বিমাবন্দরে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাপক আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক মন্তব্যের সমালোচনা করলেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর দাবি, উনি যে ভাবছেন বীর, ওনার বীরের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লির তিহাড় জেলে যেতে হবে।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘চোরেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগাতে না পারলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাবেন না। মমতা ব্যনার্জির কাছে যে চোরগুলো গেছিল সেগুলো সব চোর। ভাইপোসহ ডাকাতরা তো মঞ্চে বসে ছিল। পার্থ – কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ার পর মনোবল পড়ে গেছে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন করবে তাই মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছে’।
অপহরণের পর মুক্তিপণ চেয়ে প্রথম মেসেজ এসেছিল অতনুর বান্ধবীর কাছে
শুভেন্দুর দাবি, ‘দলটা পুরোপুরি একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। ৩টে অ্যাজেন্ডার ওপর মমতা ব্যানার্জি ও তার তথাকথিত পার্টি চলে। একটা হচ্ছে পরিবারতন্ত্র, দ্বিতীয় হচ্ছে তোষণ, তৃতীয় হচ্ছে দুর্নীতি। টু আর্ন মানি, টু কালেক্ট মানি থ্রু পলিটিক্স। এই তিনটে অ্যাজেন্ডাতে যে পার্টি চলে তার সুপ্রিমোর মুখ থেকে অন্য কথা বেরোতে পারে না। উনি যে ভাবছেন বীর, ওনার বীরের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লির তিহাড় জেলে যেতে হবে’।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূচির প্রচারে এদিন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে সভা করবেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর সভা ঘিরে দুই জায়গাতেই রয়েছে চাপা উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে তারকেশ্বরে শুভেন্দুর মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।