উত্তরবঙ্গের প্রতি রাজ্য সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগকে সমর্থন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার বাড়ির পথে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের বক্তব্যের পাশে দাঁড়ন তিনি। তবে আলাদা রাজ্য প্রসঙ্গে দলের অবস্থানই তাঁর অবস্থান বলে স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সত্যিকারের কোনও উন্নয়ন করেনি এরা। মুখ্যমন্ত্রী বেড়াতে আসেন উত্তরবঙ্গে। বলেছিলেন উত্তরকন্যা করেছি। এটা না কি দ্বিতীয় মহাকরণ। আপনারা কি সেখান থেকে কোনও পরিষেবা পান? জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো এখনো তৈরি হল না কেন?’
শুভেন্দুবাবুর দাবি, রাজ্যে সব থেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন উত্তরবঙ্গে। এখানকার মানুষ অসমে গিয়ে কাজ পায় কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পায় না। রাজ্যের উদাসীনতার বিরুদ্ধে এখানকার মানুষের যে ক্ষোভ রয়েছে তা আমি সঠিক বলে মনে করি। কিন্তু পৃথক রাজ্য একটি স্পর্শকাতর বিষয়। দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে তখনই কিছু বলব। এখন আলাদা করে বলার কিছু নেই।
২ মে থেকে গোটা রাজ্যে স্কুল কলেজে গরমের ছুটি ঘোষণার বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীকে এক চিঠি লিখেছিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। চিঠিতে শিলিগুড়ি মহকুমাকে ছুটির আওতার বাইরে রাখার অনুরোধ করেন তিনি। সেই চিঠি টুইট করে শংকর লেখেন, ‘দক্ষিণবঙ্গে হাঁচি-কাশি হলে এখানে সব কিছু বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত হলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষদের খুঁজে পাওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গের মানুষ যে বার বার আলাদা রাজ্যের দাবি তোলেন, আমি কখনও সে কথা মানিনি। তবে এ ভাবে যদি দক্ষিণবঙ্গের প্রশাসনের দ্বারা উত্তরবঙ্গকে প্রভাবিত বা চালিত হতে হয় তা হলে আলাদা রাজ্যের দাবি প্রাসঙ্গিক। ’ এদিন আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে নিরব থাকলেও বঞ্চনার অভিযোগে শংকরের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু।