করোনা আবহে এবার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল টাকির ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জন। অবশেষে মিলল অনুমতি। বৃহস্পতিবার বসিরহাটের প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন টাকির পুর প্রশাসক। বৈঠক শেষে প্রশাসনের তরফে টাকির ইছামতী নদিতে শর্ত সাপেক্ষে বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হয়।
করোনা পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছিল টাকির ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠান। একপ্রকার বন্ধই করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে বারবার আবেদন করা হয় যাতে ছোট করে হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিসর্জন করা যায়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এদিন বিসর্জনের অনুমতি দিয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড় নৌকায় সর্বাধিক ২০ জন থাকতে পারবেন এবং ছোট নৌকায় সর্বাধিক ১৫ জন মাস্ক পরে উঠতে হবে নৌকায়, মানতে হবে দূরত্ববিধি। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও রাখতে বলা হয়েছে।
একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিসর্জন সেরে ফেলতে হবে। যদিও সেই সময়সীমার ব্যাপারে পুরসভার তরফ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রত্যেকবাবেরর মতো ইছমতী নদীর ঘাটে কোনও মেলা এবার বসবে না। করোনা পরিস্থিতিতে সেই অনুমতি মেলেনি।
প্রতি বছরই টাকির বিসর্জন দেখতে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ইছামতীর তীরে হাজির হয়। এবারও বিসর্জনে সামিল হতে পারবেন বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা। প্রতিবারের মতো এবারও নৌকায় উঠে বিসর্জন দেখতে পারবেন তাঁরা। তবে মানতে হবে দূরত্ববিধি–সহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি।