প্রতারকের হাতে পড়ে দুপুরে খুইয়েছিল বাড়ির একমাত্র স্মার্টফোনটি। অনলাইনে পড়াশুনো চলবে কী করে, সেই আশঙ্কায় রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের বিদ্যাধরপুরের। নিহত মউ সাহা স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
মৃতার বাবা স্বপন সাহা জানিয়েছেন, এলাকায় একটি মুদির দোকান রয়েছে তাঁর। দুপুরে মেয়েকে সেখানে বসিয়ে বাড়িতে খেতে যান তিনি। তিনি ফিরে এলে মেয়ে বাড়ি ফিরে যায়। শুক্রবার দুপুরেও তেমনই দোকানে মউকে বসিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। এর পর দোকানে ক্রেতার বেশে আসে এক প্রতারক। বেশ কিছু সামগ্রী কেনে। কিন্তু পয়সা মেটানোর সময় জানায় কিছু টাকা কম পড়ছে। বাড়ি থেকে ফোন করে টাকা চাইতে হবে।
এই বলে মউয়ের কাছ থেকে ফোনটি চায় সে। কিশোরী সরল মনে ফোনটি ক্রেতাকে দিয়ে ব্যাগের ভিতর জিনিসপত্র ভরতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখান থেকে ফোন নিয়েই সাইকেল চালিয়ে গায়েব হয়ে যায় ওই ব্যক্তি।
বাবা দোকানে ফিরলে সব কথা বাবাকে জানায় সে। বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে কান্নাকাটি করে। রাতে বাড়ি ফিরে বাবা মেয়ের খোঁজ করতে জানতে পারেন সে নিজের ঘরেই রয়েছে। সেখানে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকিতেও না-খোলায় দরজা ভেঙে ঢোকেন তিনি। স্বপনবাবু বলেন, ‘দরজা ভেঙে দেখি মেয়েকে ছাদ থেকে ঝুলছে।’
খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায় পুলিশ এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। মৃত কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, বাড়িতে একটিই স্মার্টফোন ছিল। অতি কষ্টে পয়সা জমিয়ে মেয়ের পড়াশুনোর জন্য ফোনটি কিনেছিলাম। সেই ফোন বেহাত হয়ে যাওয়ায় নিজের ওপর অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে সে। ঘটনার তদন্তে নেমে কেপমারের সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।