পূর্ব মেদিনীপুরে শাসকদল শিবিরে ফের ভাঙন। এবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন জেলা তৃণমূল যুব সহ সভাপতি রামকৃষ্ণ দাস। দলে গুরুত্ব না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি একা নন, তৃণমূল থেকে আরও কয়েকজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও নেতা আগামী ২ জানুয়ারি মহিষাদলে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন।
যদিও যুব তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতির দলবদলের এই সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। অন্যদিকে, তৃণমূলকে ভাঙা নৌকার সঙ্গে তুলনা করে রামকৃষ্ণের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। সোমবার এ ব্যাপারে রামকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘২ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তাঁর সাথী হয়ে লড়াই করার ইচ্ছে রয়েছে। সেটাই আমার সিদ্ধান্ত।’
জানা গিয়েছে, ইটামগরা–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান রামকৃষ্ণ দাস বরাবরই শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। তাঁর কিছু কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি তৃণমূলের তরফ থেকে তাঁকে শো–কজ চিঠি দেওয়া হয়। যদিও সেই চিঠির উত্তর দেননি তিনি। আর তার পরই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিন রামকৃষ্ণ আরও জানিয়েছেন, আগামী ২ জানুয়ারি মহিষাদলের দ্বারিবেড়াতে বিজেপি–র সভায় তাঁর সঙ্গে আরও ১০–১৫ জন তৃণমূল নেতা গেরুয়া শিবিরে শামিল হবেন।
যদিও এ ঘটনায় ভাবলেশহীন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁর কথায়, ‘রামকৃষ্ণের এই সিদ্ধান্তে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ কিছু অসুবিধা হবে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের নেত্রী ঘোষণাই করছেন, যাঁরা যেতে চান তাঁরা চলে যেতে পারেন। দলে থেকে তলে তলে দলের ক্ষতি করা থেকে চলে যাওয়াটাই অনেক শ্রেয়।’