হুল দিবসে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। হুল দিবসের দিনেই তিরধনুক, টাঙ্গি নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। হামলার শিকার তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, আদিবাসীদের আড়ালে এই অস্ত্র নিয়ে হামলার নেপথ্যে বিজেপি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে বুধবার দুপুর নাগাদ এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কেশপুরের কুমারী বাজার এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারী বাজারে তিরধনুক নিয়ে অনেকে হামলা চালায়। তৃণমূলের অভিযোগ, সেই হামলা সমর্থক শেখ হাবিবের হার্ডওয়ারের দোকানকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। হাবিবের দোকান লক্ষ্য করে অনেক আদিবাসী তির ছুঁড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। এরপরই দোকানের মালিক হাবিবরে টাঙ্গির কোপে জখম করা হয় বলে অভিযোগ। এতে হাবিবের আঙুল কাটে। হাবিবকে এরপর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বুধবার সকালে কুমারী বাজারের কাছেই বিজেপি-তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা হাতাহাতি জড়িয়েছিল। হাবিবের দোকানের উপর হামলা সেই ঘটনার রেশেই হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। ঘটনা প্রসঙ্গে কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী অভিযোগ করেন, 'শান্ত কেশপুর অশান্ত করে তুলতে এবং সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হুল দিবসে গণ্ডগোল করা হয়েছে।' যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষের পালটা দাবি, আগে বিজেপি কর্মীদের উপরই হামলা হয়েছিল। তৃণমূলের আক্রমণে ছয় বিজেপি কর্মী জখম হন বলে দাবি করেন তন্ময়বাবু।
উল্লেখ্য, কেশপুরে বরাবরই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে থাকে। এর জেরে অশান্ত থাকে এলাকা। বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে তৃণমূলের শিউলি সাহার কাছে বিজেপি পরাজিত হয়। এরপর থেকেই এলাকায় অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।