ফের মালদায় পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠীর। বিজেপির দাবি, ২০২১-এ ফিরবে না বুঝে বেলাগাম লুঠপাট শুরু করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের সাফাই, আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলা হবে। ঘটনায় অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
মালদার কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের গঙ্গাপ্রসাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় কোনও আলোচনা না করেই ৪০ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডেকেছেন তিনি। এমনকী পঞ্চায়েতের অর্থ উপসমিতিতেও টেন্ডার ডাকার জন্য কোনও প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। বিরোধী বাম, কংগ্রেস বা বিজেপি নয়, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী।
অভিযোগ, উদ্যান পালন দফতরের খরচ বাবদ ৪০ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সঙ্গে ৩.৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে একটি রাস্তা তৈরির জন্য। আর গোটা প্রক্রিয়াটাই হয়েছে অবৈধ ভাবে।
ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া, সবাইকে নিয়ে বসে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে। সম্ভবত কাজের ভাগবাটোয়ারা সমান হয়নি। তাই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। তিনি জেলার কো অর্ডিনেটরের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে ফেলবেন।
যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে এত সহজে ছেড়ে দিতে নারাজ বিজেপি। তাদের দাবি, মালদা জেলা জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূলেরই অপর গোষ্ঠী। তার মানে দলটা কোথায় চলে গেছে। কোনও সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, কোনও প্রস্তাব পাশ না করিয়ে দিনের পর দিন অবৈধ টেন্ডার করে টেন্ডারের টাকা পকেটে পুরছে। তারা জেনে গিয়েছে ২০২১ সালে তারা আসবে না। তাই যেখান থেকে যতটা পারে দিদির অনুপ্রেরণায় তারা কামিয়ে চলেছে।
বলে রাখি, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সিন্ডিকেট ও টেন্ডার নিয়ে শাসকদলের বিবাদ লেগেই রয়েছে। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় শাসকদলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী গোটা বরাত নিজেদের কুক্ষিগত করছে। যার ফলে বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।