দিনহাটা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে উদয়ন গুহ কী প্রার্থী? জেলাজুড়ে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ সম্প্রতি উদয়ন গুহ নেতা–কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এবার যদি তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী না জেতে তাহলে আপনাদের পঞ্চায়েতি শেষ হয়ে যাবে। পুজোর পরই বাকি বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোট হবে বলে নির্ঘন্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আর দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই উদয়ন গুহকে দলের প্রার্থী বলে তুলে ধরে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে দিনহাটায়। আর তাতেই বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এখনও প্রার্থী হিসেবে কারও নাম ঘোষণা করেনি। তাহলে এমন প্রচার কেন? এই বিষয়ে দিনহাটার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ‘আমি দলের কর্মী হিসেবেই কাজ শুরু করেছি। প্রার্থীর নাম নেতৃত্ব ঘোষণা করবেন।’ সূত্রের খবর, উদয়ন নিজেই এই কাজ করিয়ে দলকে প্রার্থী হতে চাওয়ার বার্তা দিয়েছেন।
দিনহাটা নজরকাড়া আসন বলেই অনেকে মনে করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি কেউ এখনও এখানে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তাহলে আসনটি নজরকাড়া কেন? জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি ভেটাগুড়িতে। ওই কেন্দ্র থেকে একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহকে হারিয়ে ৫৭ ভোটে জয়ী হন নিশীথ প্রামাণিক। যদিও পরে তিনি বিধায়ক পদ ত্যাগ করেন। সুতরাং এখানে এবার যে বিজেপি প্রার্থী হবেন তাঁকে জেতাতে মরিয়া হবেন নিশীথ। আর পুরনো ভোটব্যাঙ্ক ফিরিয়ে জয়লাভ করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এটি নজরকাড়া হযে উঠেছে।
সূত্রের খবর, এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের সঙ্গে উদয়নের অনুগামীদের বিরোধ তুঙ্গে রয়েছে। আর প্রার্থী বাছাই নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের তরজা প্রকাশ্যে এসেছে। বিজেপির মধ্যে একটা সমস্যাও দেখা গিয়েছে। সেটা হল, এখানে প্রার্থী জিতেও পদত্যাগ করেছেন। তাতে মানুষজন খানিকটা বীতশ্রদ্ধও। সুতরাং কে জয়ী হবেন তা সময়ই বলবে। আপাতত সরগরম দিনহাটা।