খুদে পড়ুয়াদের নামে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জব কার্ড করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিষ্ণুপুরে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছে ব্লক প্রশাসনের কাছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসনের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছেন, বিষ্ণুপুরের বেলশুলিয়া পঞ্চায়েতে সদস্য তথা তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া মেয়ে জব কার্ড পেয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, একজন স্কুল পড়ুয়া কি এইভাবে জব কার্ড পেতে পারেন? যাদের বয়স ১৮ বছর হয়নি, তাদের নামে জব কার্ড হয় কীভাবে? অভিযোগ, বেলশুলিয়ার অঞ্চল সভাপতি কাশেম শেখের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া মেয়েও জব কার্ড পেয়ে গিয়েছেন। যাদের পাওয়ার কথা নয়, এই রকম অনেকের নামেই জব কার্ড হয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে এই বিষ্ণপুরের মড়ার গ্রামে জব কার্ড তৈরির যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। তবে বেলশুলিয়ায় যে এই ঘটতে পারে, সে কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুরের বিডিও শতদল দত্ত জানান, পঞ্চায়েতের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। বেনিয়ম হলেই এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল অগস্তি জানিয়েছেন, 'তৃণমূলের আমলে বেনিয়মই নিয়ম হয়ে গিয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা যুক্ত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।' অন্যদিকে তৃণমূলের বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যদি কোনও বেনিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যাদের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে, সেই পঞ্চায়েত নেতাদের দাবি, নিয়ম মেনেই তাঁদের মেয়ের নামে জব কার্ড করানো হচ্ছে।