দীর্ঘ টালবাহানার পর ধরা দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। লুকোচুরি ছেড়ে এবার তাঁকে দেখা গেল বাগডোগরা বিমানবন্দরে। তাও যখন আইন চারদিক থেকে তাঁকে ঘিরে ফেলেছে। কলকাতা হাইকোর্টে নিজের আইনজীবী দিয়ে অনেক চেষ্টা করেও যখন দেখলেন কোনও রাস্তা বেরোল না তখন গোপন ডেরা থেকে বেরিয়ে এলেন পরেশ অধিকারী।
তাহলে কী পরেশের পরশ পাবে সিবিআই? বাগডোগরা বিমানবন্দরে তাঁর গন্তব্য নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই কড়া গলায় মন্ত্রীমশাই বলেন, ‘আমি কলকাতা যাচ্ছি। আপাতত এটাই বলতে পারি। আর কোনও কথা নয়।’ তবে মন্ত্রীর দেখা মিললেও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে বিমানবন্দরে দেখা যায়নি। যেখানে বাবা–মেয়ে দু’জনকেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী টালবাহানা করেছেন পরেশ? প্রথমে তিনি আদালতের নির্দেশ মানলেন না। তারপর রাতে যদিও পদাতিক এক্সপ্রেসে উঠলেন, নেমে পড়লেন মাঝ রাস্তায় বর্ধমানে। আবার পরদিনই তাঁর আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই হাজিরা আটকাতে তৎপর হন। সেখানেও কিছু করা যায়নি। ততক্ষণে বর্ধমানের সার্কিট হাউজে একবার দেখা গেল কন্যা–সহ। তারপর আবার নিখোঁজ। তখন আদালত সময় বেঁধে দিল আজ দুপুর সাড়ে তিনটে। সেটাও মানলেন না। তখন সিবিআইকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। টনক নড়ে যায়। তখন আইনজীবী জানান, পরেশ অধিকারী আছেন মেখলিগঞ্জে। বিমানে করে আসছেন। সিবিআই জেরায় সাড়া দিতে হবেই বলে নির্দেশ দেয় আদালত। তারপরই দেখা মিলল পরেশ অধিকারীর।
তাহলে মন্ত্রী কখন নামছেন কলকাতায়? এখন কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পরেশ অধিকারী। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টার সময় কলকাতায় আসবেন। এবার পরেশের আইনজীবী বিচারপতিকে অনুরোধ করেন, মন্ত্রীকে যেন পুলিশ ধরে নিয়ে না যায়। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কাউকে কোনও জামাই আদর করা হবে না।’