ফেসবুক লাইভ করে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। কন্ঠে তাঁর শোনা গিয়েছিল, একাধিক রবীন্দ্র সংগীত। এবার শান্তিপুরে সঙ্গীতশিল্পী সম্মান হাতে নিয়ে কৃষ্ণনাম–গানে মাতলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি নেত্রীর চোখে কালারফুল নেতা তথা কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। শান্তিপুরের গঙ্গায় বসন্তমিলন করার এবার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। একইসঙ্গে জানালেন, বিধায়ক হয়েছি–মন্ত্রী হয়েছি, স্বপ্ন ছিল শিল্পী হব, সেটাও হয়ে গেলাম। জীবনে আর চাওয়া–পাওয়া কিছু থাকল না।
এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই বলছেন, মন্ত্রী হতে না পারায় এভাবেই তিনি নিজেকে সান্ত্বনা দিলেন। শান্তিপুরের একটি ক্লাব তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রকে শিল্পী সম্মানে ভূষিত করেছেন। তাতে আপ্লুত মদন। এই সম্মান তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্মান বলে জানালেন দু’বারের বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র।
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? সম্মান পাওয়ার পর মদন মিত্র বলেন, ‘বিধায়ক হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি, স্বপ্ন ছিল শিল্পী হব। সেটাও হয়ে গেলাম। জীবনে আর চাওয়া–পাওয়ার কিছু থাকল না। সবই পেয়ে গেলাম। এখনও পর্যন্ত আমি অনেক পুরস্কার পেয়েছি। জুতো, লাথি, ডান্ডা, ৫২টি কেস, লকআপ পেয়েছি। তবে শিল্পী হিসাবে প্রথম সম্মান দিল শান্তিপুর পূর্ণিমা মিলনী। আমি থাকি ভবানীপুর। যেদিন শান্তি পেতে চাইব, আসব শান্তিপুর। ভবানীপুর আর শান্তিপুর যমজ ভাই।’
মদন মিত্রের ইদানিংকালের কাজকর্ম দেখে তাঁকে কালারফুল নেতা আখ্যা দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানে এসে তিনি বলেন, ‘পূর্ণিমা মিলনকে বসন্ত মিলনে পরিণত করুন। কোনও অসুবিধা না থাকলে শান্তিপুরের গঙ্গাবক্ষেও আমি কলকাতার মতো বসন্তমিলন করার চেষ্টা করব।’ মদন মিত্র লাল ধুতি, লাল–হলুদ পাঞ্জাবি ও তার উপর জরির কাজ করা জ্যাকেট পরে এবং চোখে হলুদ চশমা দিয়ে একেবারে ‘কালারফুল’ হয়ে উঠেছিলেন।