গঙ্গারামপুরে তৃণমূলের জনসভায় বৃহস্পতিবার ফের বিজেপি–কে নিশানা করে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ‘ভাইপো’ বলে আক্রমণ করে এসেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি–তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীরা। এবার তারই পাল্টা হিসেবে ‘বহিরাগত’ বান চালালেন অভিষেক।
তিনি এদিন বলেন, ‘নাম করে বলার সাহস নেই। আমি নাম করে বলছি, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত। তাঁর ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা। দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। নাম করে বলছি, অমিত শাহ বহিরাগত। নাম করে বলছি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বহিরাগত। দম থাকলে মামলা করে জেলে পুরে দেখাও।’
অভিষেকের নাম না করে ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’ আওয়াজ তুলেছেন শুভেন্দু। এদিন সেই কথা তুলে অভিষেক বলেন, ‘ইডি–সিবিআই লাগাতে হবে না। আমার বিরুদ্ধে তোলাবাজি, দুর্নীতির অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তবে ফাঁসির মঞ্চ করে দেবেন, আমি মৃত্যুবরণ করব।’ কটাক্ষ করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘ভোটের সময় বিজেপি, পরিষেবা দেওয়ার সময় তৃণমূল।’ বিজেপি–কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, বেইমান হোক বা ডাকাত কেউ ছাড়া পাবে না। কিন্তু এখন সব বেইমান, ডাকাত বিজেপি–তে ঢুকে গেছে।’
জনগণের উদ্দেশে অভিষেকের বার্তা, ‘আগামীদিনে বহিরাগতদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন। রবীন্দ্রনাথকে সম্মান করে না, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে তাদের চাই না। বিজেপি এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন কালকেই ক্ষমতায় আসবে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘দিল্লি পরিচালনা করবে গঙ্গারামপুর, মেদিনীপুর, কোচবিহারকে? এদিন তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষুদিরামের আদর্শ মেনে চলি। ক্ষমতা দখলের লালসা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার ক্ষমতা ছেড়ে চলে এসেছেন। তাঁর আদর্শ মেনে চলে তৃণমূল।’
শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে অভিষেক বলেন, ‘আপনি উপসর্গহীন বেইমান, দলের খেয়ে দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। বলেছিলাম, বাড়িতে পদ্মফুল ফোটাতে পারোনি। সঙ্গে সঙ্গে একটা ভাইকে বিজেপি–তে যোগদান করিয়েছে। তার মানে বাড়িতে আরও উপসর্গহীন রয়েছে।’ অভিষেকের হুঙ্কার, ‘দিল্লি–গুজরাতের কাছে বাংলাকে বিক্রি করার চেষ্টা, লাভ হবে না। যতই নাড়ো কলকাটি, নবান্নে ফের হাওয়াই চটি।’