মধ্যাহ্নভোজনের রাজনীতি নিয়ে একটা সময় খোঁচা দিয়েছিলেন কংগ্রেসকে। ছ'বছর আট মাস পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও সেই কটাক্ষের মুখে পড়তে হল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজনের ছবি শেয়ার করে বিজেপিকে খোঁচা দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
গত শনিবার মেদিনীপুরের জনসভার আগে শালবনির বেলিজুড়ি গ্রামের এক কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্ণভোজ সেরেছিলেন শাহ। একইভাবে রবিবার বোলপুর সফরে গিয়ে বাউল শিল্পীর পরিবারেও দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করেন। দু'দিনই সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়রা। সেই ছবি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন শাহ। বিজেপির তরফেও সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম কসুর বাকি রাখা হয়নি।
তবে সেই মধ্যাহ্নভোজনের রীতি বঙ্গ বিজেপির কাছে একেবারেই নতুন নয়। গতবার লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বঙ্গ সফরে এলে এরকমভাবেই গরিবের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারছেন শাহ। তা নিয়ে প্রতিবারই ঘাসফুল শিবির থেকে উড়ে এসেছে কটাক্ষ। কয়েক সপ্তাহ আগেই এক আদিবাসী পরিবারে শাহের সেই মধ্যাহ্নভোজনকে খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘লোক দেখানো’ বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তবে এবার মোদীর পুরনো টুইট ব্যবহার করেই গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
২০১৪ সালের ৯ এপ্রিলের সেই টুইটবার্তায় মোদী বলেছিলেন, 'দারিদ্র্য পর্যটনে কংগ্রেস নেতারা অভিজ্ঞ। ক্যামেরা নিয়ে তাঁরা গ্রামে যান, গরিবদের সঙ্গে বসেন, তাঁদের খাবার খান এবং ছবি তোলেন।' সে বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে গরিবদের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেই রেশ ধরেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন মোদী। আর ছ'বছর সেই কটাক্ষ বাণেই মোদীর বিজেপিকে জর্জরিত করেছে তৃণমূল।
মোদীর সেই টুইট তুলে ধরে তৃণমূলের টুইটার অ্যাকাউন্টে শনিবার শাহের মধ্যাহ্নভোজনের ছবি পোস্ট করা হয়। শাহের একপাশে বসেছিলেন দিলীপ। অপর পাশে ছিলেন কৈলাস। সেই ছবির সঙ্গে লেখা হয়, ‘এই রে।’