একেবারে সরাসরি উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে সওয়াল করেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে উল্টো সুর শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। তিনি জানিয়েছেন, জন বারলার মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় দল। এনিয়ে জন বারলাকে বোঝানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কতজনকে বোঝাবেন দিলীপ ঘোষ? ইতিমধ্যেই দলের অভ্যন্তর থেকে একের পর এক জনপ্রতিনিধি জন বারলার পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। বিশেষত উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের একাংশ এবার জন বারলার সমর্থনে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি একাধিক বিধায়ক তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহলে জনের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।
দার্জিলিং জেলার মাটিগাড়া- নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন আগেই জন বারলার দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। এবার জন বারলার পাশে দাঁড়ালেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত এবার প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে হারিয়ে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। শিখা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘সচিবালয় হিসাবে উত্তরকন্যা তৈরি শুধুমাত্র আইওয়াশ করার জন্য। সেখানে শুধু আড্ডাই চলে, কোনও কাজ হয় না। উত্তরবঙ্গকে রাজ্য করলে ভালো, নইলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক। তাহলে অনেক কাজ হবে।’ সেই একই সুর আনন্দময় বর্মনের গলাতেও। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই দাবি উত্তরবঙ্গের মানুষের। সেটাই বলেছেন আমাদের সাংসদ। আলাদা রাজ্য হলে অসুবিধা কোথায়?’
তবে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ অবশ্য সতর্ক পা ফেলতে চাইছেন। তিনি বলেন,'আলাদা রাজ্য করলে সমাধান হবে নাকি অন্য় উপায়ে সমাধান করতে হবে তা দলের অভ্যন্তরে আলোচনা হবে।' আর এসব শুনে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, ‘শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। ’