নন্দীগ্রামে বিজেপির একাংশের মধ্যে দীর্ঘদিন এই ধরেই ক্ষোভ ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই খবরের বহিঃপ্রকাশ ঘটল। নন্দীগ্রামে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লড়াইয়ে অন্যতম সৈনিক ছিলেন বটকৃষ্ণ দাস এবং নন্দীগ্রাম দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতির জয়দেব দাস। তারা দুজনেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে। আর তারপরেই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পালের ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
প্রলয় পাল নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হৃদয়টা ভেঙে দু টুকরো হয়ে যাচ্ছে।’ প্রলয়ের হাত ধরেই নন্দীগ্রামের রাজনীতিতে উঠে এসেছিলেন জয়দেব এবং বটকৃষ্ণ। অথচ সেই দুই নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চলায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রলয় পাল। তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত আমার সিদ্ধান্ত। তবে আমরা একসঙ্গে দল করেছি। সেই মানুষটা দল ছাড়লে তো যন্ত্রনা হবেই।’ এখন এই আবেগ শুধুই কি শুধুই কী কাছের মানুষের দল ছাড়ার জন্য নাকি বিজেপিতে বৃহত্তরও ভাঙ্গনের আশঙ্কা রয়েছে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, একসময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকার সময় তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতৃত্ব। এখন সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে আসায় অনেকেই তা মেনে নিতে পারছে না। বটকৃষ্ণ বলেন, ‘এক সময় শুভেন্দু অধিকারীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। এখন এরাই বিজেপিতে জাঁকিয়ে বসেছে। পুরনো দল ছাড়তে কষ্ট হয়েছে। তবে ভালো লাগছে যে অত্যাচারীদের সঙ্গ ছাড়তে পেরেছি।’
স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীর কথায়, ‘বিজেপির কর্মীদের অনেকে এখন বুঝতে পেরেছেন তৃণমূলের জোচ্চোররা এখন বিজেপি দখল করে নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলে ওরা তা বুঝতে পারবে।’ তবে এ কথা মানতে নারাজ বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বিজেপি একটি শৃঙ্খলাপরায়ন দল। বটকৃষ্ণ এবং জয়দেব দল বিরোধী কাজ করেছিলেন বলে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল। এখন ওরা কী করবেন সেটা ওদের নিজের ব্যাপার। তাতে বিজেপির কিছু আসে যায় না।’