হঠাৎই অপসারণ করা হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বধিরূপা সিনহাকে। অনৈতিকভাবে তাঁকে অধ্যক্ষ পদে বসানোর অভিযোগ উঠেছিল। তার ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে তাঁকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বধিরূপা সিনহাকে অপসারণের বিষয়টি জানিয়েছে। এই নির্দেশিকা জারি হতেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কীভাবে কোনও রকমের ইসি কমিটির মিটিং ছাড়াই তাঁকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হল? তা দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধ্যাপকদের একাংশ। অধ্যাপকদের একাংশ মনে করছেন, সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিরোধিতা করেছিলেন। ফলে অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে সেই কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকেই।
বধিরূপার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে অধ্যক্ষ পদে বসার অভিযোগ তুলেছিলেন অধ্যাপকদের সংগঠন ভিবিইউএফএ'র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। প্রথমদিকে সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের অভিযোগে কর্ণপাত করেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগ আনার পরেই তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০০৫ সালে বধিরূপাকে যখন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, তা নিয়ম মেনে করা হয়নি। তাঁকে সরানোর দাবিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সহ বিভিন্ন জায়গায় চিঠিও দিয়েছিলেন। এরপরেই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শনিবার বধিরূপাকে সরানোর বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অধ্যাপক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র একাংশের দাবি, সাধারণভাবে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ নিতে গেলে আগে ইসি মিটিং করে তার সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে কোনওরকম মিটিং করা হয়নি। তাঁদের দাবি, ঠিক কী কারণে অধ্যক্ষকে অপসারণ করা হয়েছে সে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই সে বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতে হবে।
তবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবিষয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও এর নেপথ্যে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে বলে মনে করছেন অধ্যাপক সংগঠনের একাংশ।