আস্থা নেই রাজ্য পুলিশে। তাই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে আদালতে যেতে পারে বিজেপি। সূত্রের খবর, আগেভাগেই বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে রাখার জন্য দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্যস্তরের নেতারা।
আগামিদিনের রণকৌশল নির্ধারণে কলকাতা আইসিসিআর সভাগৃহে বৈঠকে বসে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল কীভাবে তৈরি করা হবে, তা নিয়েও রবিবার আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে যে রাজ্য পুলিশে একেবারেই আস্থা নেই। তাই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলা হবে। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও সেরে রাখার দাবি উঠেছে বলেও সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Prasun Banerjee: ‘শুধুমাত্র আনুগত্য নয়’ প্রসূনের মন্তব্যে TMC-র বেহাল অবস্থার ইঙ্গিত পাচ্ছেন শমীক
বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ দাবি করেছেন, স্বশাসিত সংস্থা হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের অঙ্গুলিহেলনে চলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানানো হতে পারে। তাঁর দাবি, যদি ঠিকভাবে পঞ্চায়েত ভোট হয় এবং সুষ্ঠুভাবে গণনা হয়, তাহলে এবার বিজেপির আসন সংখ্যা বহুগুণ বাড়তে চলেছে (২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট থেকেই রাজ্যে উত্থান হয়েছিল বিজেপির)।
একইসুরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হবে গেরুয়া শিবির। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে (রাজ্য নির্বাচন কমিশনের) কাছে আবেদনের বিষয় নেই। কারণ রাজ্য নির্বাচন কমিশন পঞ্চায়েত ভোটে করিয়ে থাকে। এই মুহূর্তে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যা অবস্থা, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সেলে পরিণত হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই তাদের কাছে আবেদন করে কোনও লাভ হবে না। অন্য কোনও পন্থায় আদালতে যাওয়া যায় কিনা, সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।’
আরও পড়ুন: BJP beats TMC: শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে উড়ে গেল মমতার তৃণমূল, হার সমবায় নির্বাচনে, হল অশান্তি
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া
যদিও বিজেপির সেই দাবি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘জনভিত্তিহীন, দেউলিয়া রাজনৈতিক দল হলে এরকমই হয়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তো কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। ভারতের নির্বাচন কমিশন ভোট করিয়েছিল। প্রবল গরমের মধ্যে আট দফায় হয়েছিল। তারপরও ওরা (বিজেপি) হেরেছিল।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা নিজেদের ব্যর্থতা, বিশ্বযোগ্যতার অভাব, গ্রহণযোগ্যতার অভার এবং জনভিত্তির অভাবের কারণে চিরকাল এরকম উস্কানিমূলক রাজনীতি করে এসেছেন। নিজেদের স্বার্থে দেশের সাংবিধানিক কাঠামোও ভেঙে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন কুণাল।