আমরা স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলাম, অনন্যার স্বীকারোক্তির পরেও জেলে যেতে হল প্রেমিকদের

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে আসানসোল স্টেশনে মুম্বই মেল ঢুকতেই ট্রেনে অনন্যা ও রিয়ার খোঁজ শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের সনাক্ত করে ফেলে পুলিশকর্মীদের একটি দল।

ধৃত শেখর ও শুভজিতকে আদালতে পেশ করছে পুলিশ।

নিজেদের ইচ্ছায় প্রেমিকদের সঙ্গে ঘর ছেড়েছি। পুলিশকে সরাসরি একথা জানালেও বালির পলাতক ২ বধূ অনন্যা ও রিয়ার ২ প্রেমিককে বৃহস্পতিবার যেতে হল জেলে। এদিন তাঁদের হাওড়া আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২ যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন ২ বধূর স্বামীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে আসানসোল স্টেশনে মুম্বই মেল ঢুকতেই ট্রেনে অনন্যা ও রিয়ার খোঁজ শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের সনাক্ত করে ফেলে পুলিশকর্মীদের একটি দল। এর পর ৪ জনকে ট্রেন থেকে নামতে বলে তারা। জানা গিয়েছে, পুলিশের নির্দেশ মেনে আসন ছাড়া তো দূর অস্ত, উলটে পুলিশকেই শাসাতে শুরু করেন অনন্যা। বলেন, ‘প্রেম করেছি, বেশ করেছি। আপনারা মাথা ঘামাচ্ছেন কেন? আমি শেখরকে ভালোবাসি। আমরা স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিলাম। কেউ জোর করে নিয়ে যায়নি।’

গ্রেফতারির পর বুধবারই ২ বধূ অনন্যা ও রিয়া ও তাঁদের ২ প্রেমিক পেশায় রাজমিস্ত্রি শেখর ও শুভজিতকে নিশ্চিন্দা থানায় নিয়ে আসেন পুলিশকর্মীরা। বৃহস্পতিবার শেখর ও শুভজিতকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২ বধূর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রিয়ার সাত বছরের ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। আর ২ বধূর ঠিকানা হয়েছে নিশ্চিন্দা থানা।